পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কপালকুণ্ডলা । NO vS) লু। বিদেশে—বহুদূরে-তোমাকে অট্টালিকা দিব, -ধন দিব-দাস দাসী দিব, রাণীর ন্যায় থাকিবে । কপালকুণ্ডলা আবার চিন্তা করিতে লাগিলেন। পৃথিবীর সর্বত্র মানস লোচনে দেখিলেন-কোথাও কাহাকে দেখিতে পাইলেন না ; অন্তঃকরণ-মধ্যে দৃষ্টি করিয়া দেখিলেন-তথায় তা নবকুমারকে দেখিতে পাইলেন না, তবে কেন লুৎফ-উন্নিসার সুখের পথ রোধ করিবেন ? লুৎফ-উন্নিসাকে কহিলেন :- “তুমি যে আমার উপকার করিয়াছ কি না তাহা আমি এখন বুঝিতে পারিতেছি না। অট্টালিকা, ধন সম্পত্তি, দাস দাসীরও প্রয়োজন নাই । আমি তোমারসুখের পথ কেন রোধ করিব ? তোমার মানস সিদ্ধ হউক-কালি হইতে বিস্ত্ৰ-কারিণীর কোন সম্বাদ পাইবে না । আমি বনচর ছিলাম আবার বনাচর হইব ?” लू९श्-डेनिन घ्भऽङ्गऊ श्रे८व्गन ; qडणूद्ध डेझांद्र डाग्र কে না চমৎকৃত হয় ? কপালকুণ্ডলার এই বাক্য কেবল কথাতেই শেষ হয় নাই ; তাহা কাৰ্য্যে পরিণত হইল । কপালকুণ্ডলা পার-সুখের জন্য আপনার জীবন পৰ্য্যন্ত বিসর্জন দিলেন ; মানবের উদারতার এই পরাকাষ্ঠী । এই চিত্তৌদাৰ্য্যের দৃষ্টান্তে উপন্যাস পরিসমাপ্ত হইয়াছে। এই পরিসমাপ্তি কিরূপ মধুর তাহা কপালকুণ্ডলার পাঠকমাত্রেরই হৃদয়ঙ্গম আছে। কপালকুণ্ডলা পরের জন্য আত্মবিসর্জন দিয়া পাঠক মাত্ৰকেই সন্তাপিত করিয়া ।