পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W98 কাব্য-সুন্দরী । গেলেন। তিনি তা নদী তরঙ্গে মিশিয়া যান নাই, পাঠকের হৃদয়ে নিমজ্জিত হইয়াছেন। পাঠকের মনে চিরকালের জন্য আত্মগুণের একটি সুবৰ্ণ রেখা অঙ্কিত করিয়াছেন । সে রেখা কখন আপনীত হইবার নাহে। তিনি যেন কোন দেবতার ন্যায় নবকুমারের নিকট র্তাহার জীবন রক্ষা করিবার জন্য আবিভূতি হইয়াছিলেন, আবার দেবতার ন্যায় পরকে সুখিনী করিবার জন্য মৰ্ত্ত্যধাম পরিত্যাগ করিয়া গেলেন । তাহার পবিত্রতা তাহার রূপরাশিকে সমুজ্জ্বল করিয়াছিল, তঁাহার প্ৰকৃতিকে রমণীয়া করিয়াছিল এবং এক্ষণে র্তাহার স্মৃতিকে পরম মধুরা করিয়াছে । তিনি আজি ও কল্পনার উচ্চাদেশে পরম রমণীয় বেশে জীবিত আছেন । এরূপ একটি রমণীকে সৃষ্টি করাই প্ৰকৃত কবির সৃষ্টি । কবির সৃষ্টি কল্পনাধামে সুবর্ণ সিংহাসনে চিরকাল জাজ্বল্যমান থাকে। কপালকুণ্ডলা কবির সৃষ্টি, আমরা তঁহাকে চিরকাল হলদিয়া সনে প্ৰত্যক্ষ দেখিব । অথবা এখনও প্ৰত্যক্ষ দেখিতেছি তিনি সেই বনে বনে ভ্ৰমণ করিতেছেন নবকুমারের উদ্ধার সাধন করিবার জন্য একবার এদিক একবার ওদিক করিয়া বনদেবীর ন্যায় ব্যস্ত হইয়া বেড়াইতেছেন। পথে শিবিকারোহণে ভিক্ষুকের প্রার্থনা পূর্ণ করিবার জন্য সরলা বালা সমুদায় দেহাভরণ সমর্পণ করিতেছেন । শ্যামাসুন্দরীর উপকারার্থ একাকিনী নিৰ্ভীক মনে নৈশকাননে প্ৰবেশ করিতেছেন এবং