পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NOV কাব্য-সুন্দরী । এই সমস্ত পারিপার্শ্বিক দৃশ্যে চিত্রগুলিকে বড় চমৎকার শোভায় স্থাপন করিয়াছে । যখন আবার এই চিত্রগুলির পরস্পর-বৈপরীত্য ভাব মনে উদয় হয়, তখন আরও চমৎকৃত হইতে হয়, তখন উপন্যাসের কবিত্বেব প্ৰতি দৃষ্টি পড়ে ; তখন ভাবিতে থাকি, কেমন চমৎকার কৌশলে কপালকুণ্ডলার উপাখ্যান বিন্যস্ত ও সজ্জিত হইয়াছে । এই কৌশল হেতু কি কপালকুণ্ডলার সরল উপাখ্যান এত বৃহৎ বোধ হয় এবং সমুদয় হৃদয়-ধামকে পরিপূর্ণ করে ? ইহার উপাখ্যান সরল বটে, কিন্তু ইহার ব্যক্তি গুলি ক্ষুদ্র নহে। ইহার বৃহৎ চিত্রগুলি পরস্পর বিপরীত ভাবে সংস্থিত থাকাতে হৃদয়ে দ্বিগুণতর আয়তনে প্ৰতীত হইতে থাকে। বৈপরীত্যের ফলই এই। বন-বেষ্টিত সমুদ্রতীরস্থ নির্দয় কাপালিক, নগরাশ্রমী অমায়িক নবকুমারের বিপরীত দিকে সংস্থাপিত রহিয়াছে, সুতরাং উভয়েরই চিত্র দ্বিগুণতার ঔজ্জ্বল্য, ধারণ করিয়াছে। ঐশ্বৰ্য্য-পরিবেষ্টিতা চতুরা লুৎফ-উন্নিসা, নিরলস্কৃত সরলা কপালকুণ্ডলার অপর পার্শ্বে উজ্জ্বলিত রহিয়াছেন। দৃশ্যের গাম্ভীৰ্য্য ও চারুতায় মন স্তস্তিত ও বিমোহিত হয় । কপালকুণ্ডলা অতি ক্ষুদ্র গ্ৰন্থ বটে, কিন্তু তাহার চিত্র গুলি ক্ষুদ্র নহে ; তজন্যই তাহার চিত্রফলক আমাদিগের হৃদয়ে গভীরতররূপে চির মুদ্রিত রহিয়াছে। এ গ্রন্থের প্রধান চিত্ৰ-নায়িকা কপালকুণ্ডল । তাহারই চরিত্র, তাহারই প্ৰকৃতি বিশেষরূপে প্ৰদৰ্শন