পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শকুন্তলা । · Yoዓ করিবার জন্য যাবতীয় ঘটনার আয়োজন ও গ্রন্থীয় কল্পনার সৃষ্টি । আমরা ঋষিকুমারী শকুন্তলাকে দেখিস্বাছি—তিনিও জনসমাজ-বিদূরে বনবাসে চিরকাল প্ৰতিপালিতা। কিন্তু তঁাহার সেই বনবাসেই গৃহস্থের সমস্তই ছিল। অতি উচ্চকুলে শকুন্তলার সমুদ্ভব হয়। সুর-সুন্দরী মেনকা তঁহার জননী ; মহামুনি বিশ্বামিত্ৰ র্তাহার জন্মদাতা । মহর্ষি কণুের পবিত্ৰ আশ্রমে তঁহার আবাস। তাপসগণ র্তাহার। ভ্ৰাতৃস্থানীয়, অনসূয়া ও প্রিয়ম্বদা তাহার সহচরী। মহর্ষি কণু আঁহাকে অপত্যনির্বিশেষে লালন পালন করিতেন, সদাই সদুপদেশ দিতেন এবং সদনুষ্ঠানে ব্ৰতী কারিয়া রাখিতেন । ঋষি ও তপস্বিগণের পবিত্ৰ চরিত্র, দয়া ধৰ্ম্ম, স্নেহ মমতা সকলই শকুন্তলা দর্শন ও শিক্ষা করিতেন । গৌতমী তাহাকে কন্যা-নির্বিশেষে প্ৰতিপালন ও স্নেহ করিতেন । সুতরাং শকুন্তলার বনবাস, বনবাসই নহে। সুতরাং শকুন্তলার প্রকৃতি যে আতি মধুরা হইবে তাহা বিচিত্ৰ নহে। কিন্তু বিচিত্ৰ এই, কপালকুণ্ডলার প্রকৃতি এত মধুরা হইল কেন ? তঁহারই যথার্থ বনবাস ছিলনির্জন, নিৰ্ম্মম বনবাস। তিনি শকুন্তলার ন্যায়। সৎকুলোদ্ভবা নহেন। তিনি শকুন্তলার ন্যায় পবিত্ৰ-মহর্ষি হস্তে প্ৰতিপালিত নহেন । তিনি একজন নৃশংস তান্ত্রিকের হস্তে প্ৰতিপালিতা। তান্ত্রিকের নির্দয় ক্রিয়া কলাপই তাহার আদর্শস্থানীয়। তথাপি নারী-হৃদয় 8