পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भgiशाश्न्लठ्ठी । NS কিয়ৎ পরিমাণে সংসারিণী ছিলেন। কিন্তু কপালকুণ্ডল কখন সংসারাশ্রমিণী হয়েন নাই । চিরকাল নিজজন বনবাসেই প্ৰতিপালিতা । তঁহার স্বাধীন প্ৰকৃতিকে প্ৰকৃত বন্য প্ৰকৃতি বলিয়া উল্লেখ করা যাইতে পারে । তাহা এতদূর বন্য ছিল যে, সে প্রকৃতি সংসারে প্রবেশ করিয়াও সম্পূর্ণ প্রশমিত হইতে পারে নাই। তঁহার ংসারানভিজ্ঞতা বরাবর সম্পূৰ্ণ বৰ্ত্তমান ছিল । বনত্যাগ করিয়া শিবিকারোহণে নবকুমারের স্বদেশাভিমুখে যাইতেছেন এমত সময়ে কপালকুণ্ডল “ অকপট হৃদয়ে কৌটী সমেত সকল গহনাগুলিন ভিক্ষুকের হস্তে দিলেন। অঙ্গের অলঙ্কার গুলিনও খুলিয়া দিলেন।” সংসারধামে প্ৰবেশ করিবামাত্র এই তাহার প্রথম কাৰ্য্য-বনবাসিনী বালিকার প্রথম পরিচয় । তাহার বন্য প্ৰকৃতির দ্বিতীয় পরিচয় সপ্তগ্রামের অবরোধে শুষ্ঠামাসুন্দরীর সহিত সম্ভাষণ সময়ে। সেই দৃশ্যটি কি সুন্দর! কপালকুণ্ডলার প্ৰকৃতি-পরিচয়ের কি সুস্পষ্ট উদাহরণ । অবরোধে শ্যামাসুন্দরীর পার্শ্বে কপালকুণ্ডলাকে স্থাপিত করিয়া বঙ্কিম বাবু, কপালকুণ্ডলার বন্যপ্ৰকৃতিকে অধিকতর উজ্জ্বলিত করিয়াছেন । শ্যামাসুন্দরী সংসারাশ্রম-বাসিনীর প্রধান আদর্শস্থানীয় ষোড়শী প্রমোদিনী-বঙ্কিমবাবু একটী মাত্র দৃশ্যে র্তাহার সহিত কপালকুণ্ডলার বৈলক্ষণ্য পরিস্কটরূপে প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন। আমরা এই দৃশ্যের কিয়দংশ উদ্ধত না করিয়া দেখাইতে পারি না, বঙ্কিমবাবু কেমন