পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

80 কাব্য-সুন্দরী । নিপুণতম চিত্রকারের ন্যায় তাহার ছবি সকল অঙ্কিত করেন ; কেমন সুন্দর সুন্দর দৃশ্য সকল কল্পনা করিয়া এরূপ ভাবে কল্পিত চিত্ৰ সকলকে সংস্থিত করেন, যদ্বারা তাহাদিগের প্রকৃতি ও দ্রষ্টব্য গুণাদি উজ্জল বর্ণে অঙ্কিত হয় । এই প্ৰকার সংস্থান সকল কল্পনা করিয়া বঙ্কিমবাবু উপন্যাস রচনায় এত গৌরব লাভ করিয়াছেন । এই প্ৰকার সংস্থান রচনায় তাহার উপাখ্যানকে জীবিত করিয়া তুলে। সে যাহা হউক, নিয়ে সপ্তগ্রামের অবরোধের দৃশ্যটি উদ্ধত হইতেছে, পাঠকগণ কপালকুণ্ডলার প্রথম অবরোধ-চিত্ৰ অবলোকন করুন । “শ্যামাসুন্দরী দুইকরে মৃন্ময়ীর কেশ-তরঙ্গমালা তুলিয়া কহিল, “ তোমার এ চুলের রাশি কি বঁাধিবে না ? মৃন্ময়ী কেবল ঈষৎ হাসিয়া শু্যামাসুন্দরীর হাত হইতে কেশগুলি টানিয়া লইলেন । শ্যামাসুন্দরী আবার কহিলেন, ‘ ভাল আমার সাধটি পুরাও । একবার আমাদের গৃহস্থের মেয়ের মত সাজ । কতদিন যোগিনী থাকিবে ?” মৃ । যখন এই ব্ৰাহ্মণ-সন্তানের সহিত সাক্ষাৎ হয় নাই তখন ত আমি যোগিনীই ছিলাম । শু্যা । এখন আর থাকিতে পরিবে না । মৃ। কেন থাকিব না । শুষ্ঠা । কেন ? দেখিবি ? তোর যোগ ভাঙ্গিব । পরশপাতার কাহাকে বলে জান ?