পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

थjiभांश्न्लईी । 8NO সুন্দরী সখী-বয়সের সমতা ও প্রকৃতির মধুরতা থাকাতে শ্যামাসুন্দরী কপালকুণ্ডলার সহিত একপ্ৰাণ, একমান । মনুষ্য সামাজিক জীব। কপালকুণ্ডলা আশৈশব বনবাসিনী থাকিলেও গৃহধামে দুই দিন পদার্পণ করিয়াই শ্যামাসুন্দরীর সহিত মিশিয়া গিয়াছেন । হৃদয়ের সহিত হৃদয়ের এইরূপ ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ। শুষ্ঠামাসুন্দরীর সহিত মিশিয়া এখন আর সে কপালকুণ্ডলা নাই। শ্যামাসুন্দরীর ভবিষ্যৎবাণী সত্য হইয়াছে ; “ সম্পর্শমণির সম্পর্শে যোগিনী গৃহিণী হইয়াছে ; এইক্ষণে সেই অসংখ্য কৃষ্ণোজ্জল, ভুজঙ্গের বৃহতুল্য, আগুলফলিম্বিত কেশরাশি পশ্চাদ্ভাগে স্থলবেণীসম্বন্ধ হইয়াছে। বেণীরচনারও শিল্পপারিপাট্য লক্ষিত হইতেছে, কেশবিন্যাসে অনেক সুক্ষ্ম কারুকাৰ্য্য শ্যামাসুন্দরীর বিন্যাস-কৌশলের পরিচয় দিতেছে। কেশের যে ভাগ বেণী মধ্যে ন্যস্ত হয় নাই, তাহা যে শিরোপরি সর্বত্ৰ সমানোচ হইয়া রহিয়াছে, এমত নহে। আকুঞ্চিন প্ৰযুক্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কৃষ্ণ তরঙ্গলেখায় শোভিত হইয়া রহিয়াছে। মুখমণ্ডল এখন আর কেশভারে অৰ্দ্ধ লুক্কায়িত নহে ; জ্যোতিৰ্ম্ময় হইয়া শোভা পাইতেছে। দুই কৰ্ণে হেম কর্ণভূষা দুলিতেছে ; কণ্ঠে হিরন্ময় কণ্ঠমালা দুলিতেছে।” এখন আর সমুদ্রতীরস্থ আলুলায়িত কুন্তলা ভূষণহীন কপালকুণ্ডলা নাই । গৃহধামে তাহার এই সমস্ত পরিবর্ত ঘটিয়াছে। পূর্বে শুষ্ঠামাসুন্দরী কেশ বঁধিতে চাহিলে কপালকুণ্ডলা তাহার।