পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8bፖ” कावा-श्न्लदी । কপালকুণ্ডলা ঠিক উপন্যাসযোগ্য পাত্রী। র্তাহার কল্পনায় যতদূর ঔপন্যাসিক ভাব সম্ভাবিত হইয়াছে কোন গৃহস্থ নারীর কল্পনায় ততদূর সন্তাবিত নহে। তাহার বন্যপ্রকৃতি সংসারানভিজ্ঞতার উপযোগিনী এবং তঁাহার স্বাধীনতা বন্যপ্ৰাকৃতির উপযোগী । এই স্বাধীনতা, বন্যভাব, ও একান্ত সংসারানভিজ্ঞতা হেতু তাহার প্ৰকৃতিকে উপন্যাসের প্রকৃত উপযোগিনী করিয়া তুলিয়াছে। আমরা কোন বনবাসিনী ঋষিকুমারীর প্ৰকৃতিতেও এসমস্ত ভাবের একাধারে সম্মিলন দেখিনা । কারণ, ঋষিকুমারীর প্রকৃতি আশ্রমনিবাসে কথঞ্চিৎ প্ৰদমিত, প্ৰশান্ত, ও পরিশিয়মিত হইয়া আইসে। ঋষির আশ্রমনিবাসে ও সংসারের অনেক ভাব বিদ্যমান থাকে । সেখানে স্বাধীন প্ৰকৃতি উদাম ভাবে কাৰ্য্য করিতে পারে না ; ক্ৰমশঃ অধীনতায় নীয়মান ও বিনম্র হইয়া পড়ে। কিন্তু আমাদিগের কপালকুণ্ডলার আশ্রমে সেরূপ শিক্ষা ও বিনিয়ম কিছুই বিদ্যমান ছিল না । কাপালিকের আশ্রম ঋষির আশ্রম নহে । তাহা একজন তান্ত্রিকের যোগসাধনের ও বীভৎস ব্যাপার সম্পন্ন করিাবার নিভৃত বন্যালয় মাত্র। কাপালিক ঋষি ছিলেন না, তিনি কপালকুণ্ডলাকে কন্যা-নির্বিশেষে ঋষির মত প্ৰতিপালন করেন নাই । তঁহার যে প্রকার ভয়ানক উদ্দেশ্য ছিল তাহাতে কপালকুণ্ডলা কেবল বনমধ্যে আবদ্ধ থাকিয়া ক্ৰমশঃ বয়োবৃদ্ধ হইতে থাকিবেন, এই পৰ্য্যন্তই