পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কপালকুণ্ডলা । 8S আবশ্যক ছিল। সেই প্রয়োজনমত কপালকুণ্ডলাও সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে বনমধ্যে প্ৰবৃদ্ধ হইতেছিলেন। কোন শিক্ষা ও উপদেশ তাহার প্রকৃতিকে নিয়মিত করে নাই, কোন সাধু এবং সদনুষ্ঠানের দৃষ্টান্তে র্তাহার প্রকৃতি উন্নত হয় নাই, সংসারধামের কোন স্নেহময় ব্যবহারে র্তাহার প্রকৃতি বিনম্র হয় নাই । তিনি প্ৰকৃতির হন্তে প্ৰবৃদ্ধ হইতেছিলেন। তঁহার প্রকৃতিতে স্বভাবতঃই যে কোমলতা ও সরলতা ছিল তাহাই ক্ৰমশঃ স্বতঃই প্রস্ফুরিত হইতেছিল। সেই কোমলতা হেতু তিনি নবকুমারের উদ্ধারসাধনে প্ৰবৃত্ত হয়েন । নহিলে তঁাহার প্ৰকৃতির স্বাধীনতা ও বন্যভাব দমন করিবার কিছুই ছিল না। তিনি সংসারধামের কোন আদর্শই কখন প্ৰত্যক্ষ করেন নাই * । এই প্ৰকার রমণীর কল্পনা নিশ্চয় উপন্যাসোপযোগী । এ প্রকার রমণীকে কাল্পনিক কাৰ্য্যক্ষেত্রে যথেচ্ছা আনিতে পারা যায় এবং যে প্রকারে বিচালিত করা যাউক না কেন, তাহাতে কল্পনার অসামঞ্জস্য ঘটিবার সম্ভাবনা নাই। সেই জন্যই কপালকুণ্ডলা এক বৎসর কাল সংসারিণী হইয়াও যে প্রকার। কাৰ্য্য করিয়াছিলেন তাহা তাহার প্রকৃতির সম্পূর্ণ উপযোগী বলিয়াই উপলব্ধি হয়। অথচ তাহাতে উপন্যাসসুলভ যেরূপ স্বাধীন ও সরল ভাব বিদ্যমান আছে তাহা

  • অধিকারী যে প্রকৃষ্টরূপে সংসারী ছিলেন, এবং তাহার গৃহে

যে রূপালকুণ্ডলা সর্বদা থাকিস্ত, গ্রন্থে এমত প্ৰকাশ নাই ।