পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

co कावा-ठून्लठ्ठी । সংসারিণী কোন নারীরই উপযোগী হইত না । শ্যামাসুন্দরী সেরূপ স্বাধীন ও সরল ভাবে কাৰ্য্য করিতে কোন সাহসিনী হন নাই ? শুষ্ঠামাসুন্দরীরই স্বাৰ্থ, তাহারই ইষ্টসিদ্ধির জন্য কপালকুণ্ডলা নিতান্ত বিব্রত হইয়া বনে গেলেন । অথচ শ্যামাসুন্দরী গৃহে বসিয়া রহিলেন । এই জন্য বলি কপালকুণ্ডলা সম্পূর্ণ উপন্যাসযোগ্য পাত্রী । আর এক কারণে কপালকুণ্ডলা আমাদিগের হৃদয়গ্ৰাহিণী হইয়াছেন। কপালকুণ্ডলার দুঃখ ও দুর্ভাগ্য । শৈশবেই তিনি অনাথিনী ৰূপে বন্যালয়ে পরিত্যক্ত হয়েন। আমরা তাহাকে প্ৰথমে কাপালিকের আশ্রমে দর্শন করি। দর্শন করিয়া যখন তঁহাকে বনদেবীর ন্যায় নবকুমারের উদ্ধার সাধনে সচেষ্টিতা দেখি, তখন বড়ই আনন্দিত হইয়াছিলাম । কিন্তু আমাদিগের সে আনন্দ পরীক্ষণেই নিরানন্দে পরিণত হইল। যখন শুনিলাম। তিনি কাপালিকের কি দুরভিলষিত সিদ্ধির জন্য বনবাসে আবদ্ধ আঁছেন। তখন আমাদিগের হৃদয় অমনি কপালকুণ্ডলার দুরদৃষ্টের জন্য আকুল হইয়া উঠিল। শুদ্ধ নবকুমারের উদ্ধার সাধন নয়, কপালকুণ্ডলার উদ্ধার সাধন জন্যও আমরা ব্যাকুল হইলাম। অধিকারীকে শতবার ধন্যবাদ দিলাম ; তঁাহার নিকট চির-কৃতজ্ঞতা। ঋণে বিক্রীত হইলাম। নবকুমার আমাদিগের সাধন হইলেন। কপালকুণ্ডলাকে লইয়া নবকুমারের সহিত পলায়ন করিতেছি,