পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কপালকুণ্ডলা । ৫৩ উপন্যাসে আমাদিগের চেষ্টা অগত্যা অবরুদ্ধ হইয়া যায়, আমাদিগের কাৰ্য্যশক্তি উত্তেজিত হইয়া আপনা। আপনি নিবৃত্ত হইয়া পড়ে। উভয় পক্ষেই শোণিত সমভাবে উষ্ণ হইয়া উঠে । বাস্তবিক কাৰ্য্যক্ষেত্রে সেই শোণিতের তেজ কাৰ্য্যে পরিণত হয় - মানবজীবন সার্থক হয় । কিন্তু উপন্যাসের কাল্পনিক ক্ষেত্রের দোষ এই, সেখানে কাৰ্য্য করিবার ক্ষমতা নাই, সেখানে পরের উপকারার্থ হলুদয় কঁাদিয়া উঠিলেও কাৰ্য্য করিবার কিছুই ক্ষমতা নাই । শতবার এইরূপ কাৰ্য্য শক্তি অগত্যা নিবৃত্ত হইলে, তাহা আর উত্তেজিত হইতে চাহে না । হৃদয় ক্রমশঃ কঠিন হইতে থাকে। শোণিত উত্তপ্ত হইতে চাহে না ; উত্তপ্ত হইলেই তাহা তৎক্ষণাৎ শীতল হইয়া পড়ে । কাৰ্য্যশক্তি ক্ৰমশঃ দুর্বল হইয়া আইসে। উদ্যোগ একেবারে চিরনিদ্রায় অভিভূত হয় ; বৃথায় কল্পনাকে শতবার ব্যথিত করিবার এই দোষ। সৰ্ব্বদা দুঃখ-পূর্ণ উপন্যাসপাঠের | এই বিষময় ফল । যিনি সৰ্ব্বদা এই প্ৰকার উপন্যাস পাঠ করেন তাহার হৃদয় ক্ৰমশঃ শীতল হইয়া আইসে ; তিনি ক্ৰমশঃ উদ্যোগ বিরহিত হইয়া পড়েন। প্রয়োজন কালে সংসারের বান্তবিক কাৰ্য্যক্ষেত্রে তাহাকে অনেক সময় নিরুদ্যোগী দেখা যায় । কপালকুণ্ডলার দুঃখের জন্যই কপালকুণ্ডলা আমাদিগের নিকট এত প্রিয়তম হইয়াছেন। তিনি আমাদিগের হৃদয়ের সম্পত্তি হইয়া পড়িয়াছেন। তঁাহার দুঃখ