পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

G8 কাব্য-সুন্দরী । ভাবিয়া আমরা তঁহার সৌন্দৰ্য্য ভুলিয়া যাই, তাহার রূপ যৌবন সকলই ভুলিয়া যাই । তাহার প্রতিমূৰ্ত্তি দুঃখের ছায়ায় পবিত্ৰ জ্ঞান হয় । তঁহার প্রতি চাহিলেই আমরা বিষগ্ন হই । কোন অপবিত্ৰ ভাব আমাদিগের হৃদয় সম্পর্শ করে না । হৃদয়ের-বিষাদ মন্দিরে তঁাহার দেবমূৰ্ত্তি স্থাপিত দেখি । তঁহার বিমলিন মুখচন্দ্ৰমা যেন রাহুগ্ৰস্ত, ছায়াবিবর্ণিত, বিকম্পিত শশধরের ন্যায় প্ৰতীত হইতে থাকে। র্তাহার শান্ত মুখচ্ছবি, যেন কুজাঝটিকার অবগুণ্ঠনাবৃত প্ৰভাবি রহিত রক্তিম সূৰ্য্যমূৰ্ত্তির ন্যায় জ্ঞান হইতে থাকে। তঁহার দুঃখরাশি তাহার মুখমণ্ডলে ছায়া প্ৰদান করিয়াছে । সেই দুঃখ-রাশির মধ্য হইতে তিনি অতি পবিত্র শান্ত মূৰ্ত্তিতে আমাদিগের মনে গভীরভাবে সমুদিত হন। তঁহাকে দেখিলে শান্তির স্নিগ্ধমূৰ্ত্তি মনে উদয় হয়। তখন মনে অতি পবিত্ৰ শান্ত ভাবের উদয় হয় । অনেকক্ষণ র্তাহার প্রতি দৃষ্টি রাখা যায় না। নয়ন পৃথিবীর দিকে নীয়মান হয়। মনে কি যেন ভাবনার উদয় হইতে থাকে। যেন দেবমূৰ্ত্তির সমক্ষে দণ্ডায়মান আছি। আবার সেই স্নিগ্ধমূৰ্ত্তির প্রতি নয়ন নিক্ষেপ করি, নয়ন শীতল হয়। কারণ, সে মূৰ্ত্তিতে উজ্জ্বল বিভা কিছুই নাই। ঐ দেখ আলুলায়িত-কেশমণ্ডল-সমাবৃত বিমলিন মুখচন্দ্ৰমা আতি স্নিগ্ধভাবে একদা আমাদিগের প্ৰতি, একদা উৰ্দ্ধাদিকে ভক্ত বৎসলা ভবানীর প্রতি ছল। ছল করিয়া চাহিয়া দেখিতেছেন। উহার মুখমণ্ডলে