পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

JR कवि-श्न्लईी । নগেন্দ্রের পৌরজনের চিত্তহরণ করিয়া চলিয়া যাইতেছেন । দেবেন্দ্ৰ, হীরা, সূৰ্য্যমুখী, নগেন্দ্র ও কমলমণি ইহারা সকলেই বৰ্ণগৌরবে চিত্ৰভূমি উজ্জল করিয়াছে। কিন্তু ইহাদিগের পার্শ্বে ঐ যে অবগুণ্ঠনাবতী-মৃদুরঞ্জনে রঞ্জিত হইয়া অবনতমুখী অশ্রুপাতে মনোদুঃখ বিগলিত । করিতেছেন, উহাকে কি তুমি চিনিতে পরিবে-উনি কুন্দনন্দিনী । উহার চিত্ৰ তত বিভাসিত নহে, অতি কোমলবৰ্ণে মৃদুরঞ্জিত, কিন্তু উহার চিত্রে এমন মাধুৰ্য্য, এমন সৌন্দৰ্য্য আছে, যাহা তাহার পার্শ্বস্থ কোন উজ্জল চিত্রে নাই। সূৰ্য্যমুখী উজ্জ্বলতরগুণে এবং কমলমণি তদপেক্ষাও উজ্জ্বলতরগুণে পরিভূষিতা বটে, কিন্তু কুন্দনন্দিনীতে যে ধীর আবরিত সৌন্দৰ্য্য, যে কোমল রমণীয়তা, যে অসামান্য সলজ সরলতা আছে, তাহা সূৰ্য্যমুখী ও কমলমণিতে নাই। বঙ্কিম বাবু বিষবৃক্ষের বর্ণোদ্ভাসিত চিত্ৰভূমি আঁকিতে আকিতে কোথা দিয়া যে এই রমণীরত্বের চিত্ৰ সুস্পষ্ট অথচ মৃদুবর্ণে অাকিয়া গিয়াছেন, পাঠক তাহা শীঘ্ৰ উপলব্ধি করিতে পারেন। না । অপরাপর চিত্রের উজ্জ্বল অঙ্কপাতে তাহার চিত্ত এত আকৃষ্ট থাকে যে অশ্রুপূর্ণ বিমলিনা কুন্দনন্দিনীর দিকে তঁাহার সহজে দৃষ্টিপাত হয় না । কেহ না দেখাইয়া দিলে তিনি যেন দেখিতে পান না । এই জন্য বিষবৃক্ষের সমালোচনার আবশ্যক ; নাহিলে বিষবৃক্ষের সৌন্দৰ্য্য এবং গুণাবলী গ্ৰন্থকার নিজ অক্ষরেই এমন