পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢७ কাব্য-সুন্দরী । সেই নবমুকুলিত অনুরোগের পাত্ৰ হইলেন। সরলতা বশতঃ তাহা দ্বিধা বিভক্ত হইয়া কিয়ৎ পরিমাণে শ্যামাসুন্দরীর প্রতি, কিয়ৎ পরিমাণে নবকুমারের প্রতি ধাবিত হইয়াছিল । কিন্তু সে অনুরাগ আজিও এত প্ৰবল হয়। নাই, যে র্তাহার পূর্বসংস্কারের আবেগ সকল প্ৰদমিত করিতে পারে । আজিও ভক্তিবৎসলা ভবানীর প্রতি কপালকুণ্ডলার শৈশব-ভক্তি অক্ষুন্ন ছিল। আজিও সাংসারিকতা এত প্ৰবল হয় নাই, যে পরদুঃখকাতরা কপালকুণ্ডলা পরাহিতে নিরত হইবেন না। আজিও প্ৰণয় এত প্ৰবল হয় নাই, যে লুৎফ-উন্নিসার সুখের জন্য সে প্ৰণয় বিসর্জন দিতে সঙ্কুচিত হইবেন । কপালকুণ্ডলার হৃদয়ে আশৈশব যে সমস্ত ভাবের উন্মেষ হইয়াছিল সে সমস্ত ভাব এত দুৰ্ব্বল নহে, যে বৎসরেক সংসার বাসে তাহা নবোদিত প্ৰণয়ের আবেগে পরাভূত হইবে। কারণ, সেই সমস্ত ভাবই কপালকুণ্ডলার একমাত্র সম্পত্তি ছিল । সেই কতিপয় ভাবেই কপালকুণ্ডলা জীবিত । কপালকুণ্ডলা পৃথিবীর আর কিছুই জানিতেন না, কেবল বালস্বভাবসুলভ ভক্তি, ভয়, ও পরদুঃখে কাতরতা জানিতেন। তিনি পূর্বে যাহা কিছু করিতেন, ইহাদিগেরই অন্যতম ভাবে প্ৰণোদিত হইয়া করিতেন । এই ভাবিত্ৰয় তাহার জীবন-সৰ্ব্বস্ব ছিল। পৃথিবীর জ্ঞানবিরহিত হওয়াতে অন্যভাবে তিনি কখন বিচলিত হয়েন নাই। সুতরাং এই ভাবিত্ৰয়ই শনৈঃ শনৈঃ প্ৰবল