পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(t কাব্য-সুন্দরী । দৃশ্য কপালকুণ্ডলার ন্যায় গভীর উপন্যাসের উপযুক্ত বটে। আমরা এ দৃশ্য কখনই ভুলিব না। আমাদিগের মন এ দৃশ্যে পূর্ণ হইয়া রহিয়াছে। কে আবার মেঘমালাকে বিচ্ছিন্ন করিয়া দিবে !! চন্দ্ৰম কবে মেঘো মুক্ত হইয়া স্নিগ্ধ কিরণে অমৃত বর্ষণ করিবেন ! বোধ হয়। সে চন্দ্ৰমাকে দেখা আর আমাদিগের অদৃষ্টে নাই। সেই জন্যই আমরা চন্দ্ৰমার অভাবে এত বিহবল হইয়াছি। কেবল কল্পনাতে তাহার পূর্ণ মূৰ্ত্তি এখনও প্ৰভাসিত द्रश्झिाCछु । কপালকুণ্ডলার বিমোহিনী দেবমূৰ্ত্তি বঙ্কিমবাবু এরূপ কৌশলে পরিব্যক্ত করিয়াছেন যদ্বারা সেই রূপের গাম্ভীৰ্য্য ও গৌরব বিলক্ষণ প্ৰকাশিত হইয়াছে; নবকুমার নিরাশ হইয়া একাকী সমুদ্রকুলে অন্য-মনে বসিয়া আছেন এমত সময় প্ৰদোষ-তিমির আসিয়া সাগরের কাল জলের উপর ঘনীভূত হইতে লাগিল। তাহারও মন সহস্ৰ ভাবনার ঘোর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হইল । পৃথিবী তমোময়, মন ও তমোময় ; এমত সময়ে সেই গম্ভীরনাদী সাগরকুলে সন্ধ্যালোকে এক অপূর্ব রমণী মূৰ্ত্তি দেখিতে পাইলেন। অমনি সহসা তাহার তমসাচ্ছন্ন মনে যেন সৌদামিনী-রেখা প্ৰভাসিত হইল। “নবকুমার, অকস্মাৎ সেই দুৰ্গম মধ্যে দেবীমূৰ্ত্তি দেখিয়া নিস্পন্দ-শাস্ত্রীর হইয়া দাড়াইলেন । তাহার বাকশক্তি রহিত হইল ; স্তব্ধ হইয়া চাহিয়া রহিলেন।” যিনি নবকুমারের অবস্থায় সমুদ্রের জনহীন ।