পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কপালকুণ্ডলা । CI তীরে প্রদোষ-সমাগমে কখন এরূপ দেবমূৰ্ত্তির আবির্ভাব দেখিয়াছেন, তিনি ভিন্ন আর কেহই সে মূৰ্ত্তির মোহিনী শক্তি অনুভুত করিতে পারেন না । তখন কপালকুণ্ডলা নবকুমারের নিকট আশার প্রদীপ রূপে উদিত হইলেন । র্তাহার দেবমূৰ্ত্তিতে যে সৌন্দৰ্য্য ছিল তাহ পাঠক সহানুভূতি হেতু নবকুমারের অবস্থায় পতিত হইয়া অবলোকন করেন, সুতরাং তঁাহার দেবমূৰ্ত্তি দ্বিগুণ শোভায় প্রতীত হইতে থাকে। কিন্তু আর এক স্থলে বঙ্কিম বাবু অধিকতর কৌশলে কপালকুণ্ডলার রূপের পরিচয় দিয়াছেন। তিনি প্ৰথমে মতিবিবির রূপ পাঠকের নিকট বৰ্ণনা করিলেন ; মতিবিবিকে সুন্দরী সাজাইলেন। তাহার সৌন্দৰ্য্যপ্ৰভা অলঙ্কার-রাশিতে বৰ্দ্ধিত করিলেন । যে বিমোহিনী রূপে মতিবিবি সম্রাটেরও মনোহরণ করিয়াছিলেন, বঙ্কিমবাবু তাহাকে একবার সেইরূপে লোকলোচনের সমক্ষে প্ৰদৰ্শন করিলেন। এই সম্রাড়ীশ্বরী সুন্দরীর রূপে পাঠকের মন মোহিত হইল। বঙ্কিম বাবু তখন সেই সুন্দরীকে কপালকুণ্ডলার নিকট লইয়া গেলেন। কপালকুণ্ডলা বন্য বেশে পান্থনিবাসের আন্দ্রে মৃত্তিকায় একাকিনী বসিয়াছিলেন । তিনি সবে মাত্ৰ বন হইতে আসিয়াছেন । তাহার রূপ স্বভাবহস্তে এখনও নবীন। অথচ সরল ও অপরিস্কৃত রহিয়াছে। সেই বন্য প্ৰকৃতি-সুন্দরীর নিকট পৃথিবীর আলোকসামান্য সুন্দরী উপস্থিত হইলেন ।