পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vo কাব্য-সুন্দরী । সম্রাড়ীশ্বরী আত্মরূপের গরিমায় পরিপূর্ণ। তিনি জানিতেন। আমি অসামান্য সুন্দরী । বঙ্কিমবাবু সেই রাজপ্রাসাদের গর্বিতা সুন্দরীকে আনিয়া সরলা বনবাসিনী বালিকাকে দেখাইলেন। রাজেশ্বরী বনবাসিনীকে দেখিবা মাত্র চমৎকৃত হইলেন। কৌতুহল উদ্রিক্ত হইল। “ভাল করিয়া দেখিবার জন্য প্ৰদীপটি তুলিয়া কপালকুণ্ডলার মুখের নিকট আনিলেন। তখন মতিবিবির পূৰ্ব্বকার হাসি হাসি ভাব দূর হইল ; অনিমিক্‌ লোচনে দেখিতে লাগিলেন । কেহ কোন কথা কহেন নাঃমতি মুগ্ধ, কপালকুণ্ডলা কিছু বিস্মিতা। মতিবিবি নীরবে: পরাজিত হইলেন, কপালকুণ্ডলা নীরবে অলোকসামান্য সুন্দরীর উপর জয়ী হইলেন। রাজোদ্যানের পারিজাতসুন্দরী বনশোভিনীর নিকট পরাজিত হইল। কিন্তু কপালকুণ্ডল সে জয় বুঝিতে পারিলেন না । মতিবিবি বুঝিলেন আর পাঠক বুঝিলেন। পাঠক নীরবে বুঝিলেন, কপালকুণ্ডলা রাজরাজেশ্বরী অপেক্ষাও রূপবতী । নহিলে ক্ষণেক পরে মতি কেন “আপন অঙ্গ হইতে অলঙ্কাররাশি মোচন করিতে লাগিলেন।” তখন নবকুমার জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি করিতেছি ?’ মতি কহিলেন “দেখুন না। ” মতি আত্ম-শরীর হইতে অলঙ্কাররাশি মুক্ত করিয়া একে একে কপালকুণ্ডলাকে পরাইতে লাগিলেন। কপালকুণ্ডলা কিছু বলিলেন না । নবকুমার কহিতে লাগিলেন ‘ও কি হইতেছে ?’ মতি তাহার কোন উত্তর করিলেন না ।