পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মতিবিবি । Wり> ‘অলঙ্কার-সমাবেশ সমাপ্ত হইলে, মতি নবকুমারকে কহিলেন, “ আপনি সত্য বলিয়াছিলেন, এ ফুল রাজোদ্যানেও ফুটে না । পরিতাপ এই যে, রাজধানীতে এ রূপরাশি দেখাইতে পারিলাম না । এ সকল অলঙ্কার এই অঙ্গেরই উপযুক্ত—এই জন্য পরাইলাম। আপনিও কখন কখন পরাইয়া মুখরা বিদেশিনীকে মনে করিবেন।” রমণী সহজে অন্য রমণীর রূপের প্রশংসা করে না । মতিবিবি। আবার সুন্দরী-আগ্রার রাজেশ্বরী, আত্মরূপগর্ধের্ব গৰ্ব্বিতা । সেই মতিবিবি কপালকুণ্ডলার সরল রূপলাবণ্য দেখিয়া চমৎকৃত হইতেছেন এবং পরাজয় স্বীকার করিয়া আত্ম-অলঙ্কার রাশি সেই বরাঙ্গেরই উপযুক্ত বলিয়া পরাইতেছেন । এই দৃশ্যটি কি সুন্দর, কেমন নীরব, সরস, অর্থপূর্ণ ভাবোদ্দীপক চিত্ৰ ! এই নীরব চিত্রে কপালকুণ্ডলার রূপ যেমন উজ্জল বর্ণে অঙ্কিত হইল, সহস্ৰ বৰ্ণনায় তাহা হইতে পারিত কি না সন্দেহ । কিন্তু এই নীরব চিত্রের আর একটি গুরুতর অর্থ আছে । সে অর্থ মতিবিবির বর্তমান হৃদয়ের অবস্থা পৰ্য্যালোচনা করিলে প্ৰকাশিত হইবে । এই হৃদয় ভাব পৰ্য্যালোচনা করিলে আমরা দেখিতে পাইব বঙ্কিমবাবু মতিবিবিকে উপন্যাস মধ্যে কি সাজে সাজাইয়াছেন । লুৎফ-উন্নিসা আপন বুদ্ধি ও রূপবলে একদা আগ্রার রাজেশ্বরী হইয়াছিলেন । তিনি প্ৰকাশ্যে বেগমের সখী বটে, কিন্তু পরোক্ষে যুবরাজ সেলিমের হৃদয় সম্পূর্ণ V