পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মতিবিবি । \とかS》 উপক্রম হইতেছে, তাহা দেখিয়া যামিনী-সুন্দরী কুমুদিনী কাজেই মুদিত হইতে লাগিলেন । ভ্রমর কমলিনীর আশায় কুমুদিনীকে ত্যাগ করিয়া উড়িয়া গেল । যে পৰ্য্যন্ত আকবরসহ বৰ্ত্তমান, লুৎফ-উন্নিসা বুঝিলেন সেই পৰ্য্যন্ত ভ্রমর কমলিনীতে বসিতে পারিবে না । একবার সেলিম সিংহাসনে আরূঢ় হইলেই মেহের-উন্নিসা তাহারই হইবে। সম্রাটের ইচ্ছার কে প্রতিরোধ করিবে ? লুৎফউন্নিসা সিংহাসনের আশা ত্যাগ করিলেন । আশার উচ্চ শৃঙ্গ হইতে তাহার হৃদয় ভূপতিত হইল। হৃদয়দর্পণ ভাঙ্গিয়া গেল, ভাঙ্গিয়া শতধ হইল । নৈরাশ্য শতগুণ ঘাড়াইবার জন্যই যেন, শতধা দৰ্পণ হইতে পূৰ্ব্বকার উচ্চাভিলাষের পুত্তলি শতরূপী হইয়া একবার দেখা দিল। লুৎফ-উন্নিসা আর একবার বহুকাল-পোষিত উচ্চাশাকে আণুবীক্ষণিক চক্ষে দর্শন করিলেন । নৈরাশ্য দ্বিগুণিত হইয়া হৃদয়বেদনার বৃদ্ধি করিল। ক্ৰমশঃ নৈরাশ্য চিত্তময় হইল । হৃদয় কালীময় হইল। আবার নৈরাশ্যের বেদন ক্ৰমে কমিতে লাগিল। মানবের মন কখন চিরকাল নৈরাশুকে পোষণ করে না। আবার আশাদেশে চাহিতে থাকে। ঘোর নৈরাশ্য হইতেও আশা সমুদ্ভূত হয়। লুৎফ-উন্নিসা আবার আশাকে মনে স্থান দিলেন। তাহার মনে অন্য আকাঙ্ক্ষা উদিত হইল। পূর্বকার পাপাচরণে ঘুণ জন্মিল, রাজভোগে ঘূণা জন্মিল । ভাবিলেন, “যদি রাজপুরী মধ্যে সামান্য পুরস্ত্রী হইয়া থাকিতে হইল, -