পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांव-लूश्न्लदी । وحوع করিতেছিলেন। পথিমধ্যে অনতিকালপুর্বের দুর্ঘটনাও তাহার হৃদয় অধিকার করিয়াছিল। তিনি এই দুর্ঘটনাকেও সেই বৃহৎ কাণ্ডের আনুষঙ্গিক ঘটনা বলিয়া সহিষ্ণুতার সাহিত তাহা বহন করিয়া যাইতেছিলেন । এমত সময় অকস্মাৎ তাহার স্বামীকে ও কপালকুণ্ডলাকে দেখিতে পাইলেন । সুতরাং তঁাহাদিগের সাক্ষাৎকার হৃদয়কে অধিক বিচলিত করিতে পারিল না। লুৎফ-উন্নিসা কি করিলেন ? কেবল কপালকুণ্ডলাকে দেখিতে চাহিলেন । স্বাভাবিক কৌতুহল-পরতন্ত্র হইয়া, তিনি আত্মস্থানীয় নবকুমার-পত্নীকে কেবল দেখিতে চাহিলেন । সুন্দরীকে দেখিব- সে কেবল ব্যাপদেশ মাত্ৰ । সেই ব্যাপদেশে তিনি স্বীয় সপত্নীকে দেখিতে চাহিলেন। গিয়া কপালকুণ্ডলার রূপ দেখিয়া একেবারে চমৎকৃত হইলেন । তখন তাহার মনে সপত্নীর ভাব কিছুই উদয় হয় নাই। তিনি নবকুমারকে সম্পূৰ্ণ আপনার বলিয়া জ্ঞান করিতে সময় পান নাই । তখন তাহার হৃদয়ে অস্পষ্ট জ্ঞান ছিল, ইহঁরা সকলেই পর হইয়া গিয়াছেন। তিনি যবনী হইয়া ওমরাহগণের বিলাসিনী হইয়াছেন। নবকুমারের সহিত তাহার দূরত্যা বিলক্ষণ অনুভব হইতেছিল। তিনি নবকুমারকে গ্ৰহণ করিতে যাইবেন—সে ভাব এখনও মনে উদয় হয় নাই। সুতরাং তিনি কপালকুণ্ডলাকে সপত্নী বলিয়া ভাবিতে পারেন নাই। সুতরাং কপালকুণ্ডলার সম্মুখীন হইয়া তিনি তাহার প্রতি যে প্ৰকার ব্যবহার