পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शडिविदि । va করিয়া ছিলেন তাহ নিতান্ত সঙ্গত ও স্বাভাবিক বলিয়া বোধ হইতে থাকে । সে ব্যবহারে যে কবিত্ব আছে তাহা কেবলস্বভাবজ্ঞ ব্যক্তিরই উপলব্ধি হইবে । বঙ্কিমবাবু অপেক্ষা নুন্নতর স্বভাবজ্ঞ কবির হস্তে, লুৎফ-উন্নিসা এই স্থানে হয় তা অন্যবিধ ব্যবসায়ে প্ৰবৃত্ত হইতেন। কিন্তু বঙ্কিমবাবু জানিতেন লুৎফ-উন্নিসার হৃদয় উচ্চাশয়ে ক্ৰমশঃ এত বিস্তত হইয়াছিল যে, কোন ক্ষুদ্র পদার্থ সে হৃদয়ে হিংসার উদ্রেক করিতে পারে না । ক্ষুদ্র পদার্থ দেখিলে সে হৃদয়ে বরং অনুকম্পার সঞ্চার হইতে পারে, তদ্বিারা তাহা কখন অধিকৃত হইতে পারে না । লুৎফ-উন্নিসার হৃদয় এখন এই রূপ ছিল। সুতরাং নবকুমারের ব্ৰাহ্মণী তাহার হৃদয় অধিকার করিতে পারে নাই । তিনি তজজন্য অবিচলিত চিত্তে কপালকুণ্ডলাকে দেখিতে যাইলেন। ক্ষণিক দেখিয়া মন কিছু বিচলিত হইল। দেখিলেন কপালকুণ্ডলা সুন্দরী-নবকুমার যেরূপ পত্নী হারাইয়াছেন, তদপেক্ষাও বরাঙ্গিণীকে লাভ করিয়াছেন । দেখিয়া মনে মনে একবার কথঞ্চিৎ আত্মীয়তা ও অঙ্গাঙ্গী ভাবের সঞ্চার হইল। কপালকুণ্ডলাকে সপত্নীভাবে না দেখিয়া ভগিনী ভাবে দেখিলেন। সপত্নী ভাবে দেখিবেন,-ততদূর সাহসিনী হন নাই, ততদূর আত্মীয়তাভাব এখনও মনে স্থান পায় নাই । তাহার মনে,-কেউ যেন আপনার আপনার-এই পৰ্য্যন্তই অস্পষ্ট জ্ঞান হইতে