পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ver কাব্য-সুন্দরী । ছিল। এই জ্ঞানে ভগিনীর সুন্দর অঙ্গে, অনায়াসলব্ধ অলঙ্কার রাশি পরাইতে তাহার মনে মনে বড় সাধ হইল । পরাইয়া সে সাধ মিটাইলেন । হৃদয়ের আত্মীয়তা ভাবের পরিতৃপ্তি সাধন করিলেন। কারণ, লুৎফ-উন্নিসা কখন হৃদয়ভাব দমন করিতে শিখেন নাই। নবকুমারের কাছে থাকিলে তিনি নিজে যে সাজে সাজিতেন, কপালকুণ্ডলাকে একবার সেই সাজে সাজাইয়া দেখিলেন। নবকুমারের কাছে ব্ৰাহ্মণী হইয়া থাকিলেও তাহার উচ্চাশা যে বহুমূল্য অলঙ্কার দামে শোভিত হইয়া থাকিত, কপালকুণ্ডলাকে একবার সেই অলঙ্কারে শোভিতা - করিয়া কল্পনায় তৎস্থানীয় হইয়া দাড়াইলেন। ভাবিলেন। আমিও এইরূপ সাজিতাম । অপৰ্যাপ্ত অলঙ্কার আছে বলিয়া আপনার ভগিনীর অঙ্গ হইতে সে অলঙ্কার রাশি মোচন করিতে আর ইচ্ছা হইল না । প্রকাশ্যে নবকুমারকে কহিলেন, “এ সকল অলঙ্কার এই অঙ্গেরই উপযুক্ত—এই জন্য পরাইলাম।” নবকুমার তাহাই বুঝিলেন। আবার যখন মতিবিবি বলিলেনঃ“আপনিও কখন কখন পরাইয়া মুখরা বিদেশিনী_ে. মনে করিবেন”-তখন একেবারে মতিবিবির হৃদয়কাব্য বিকশিত হইয়া পড়িল । নবকুমার সে কাব্যের একটি ভাবও তখন বুঝিতে পারিলেন না । লুৎফ-উন্নিসা একেবারে সকল আশা পরিত্যাগ | BBBBBD KLDDBDS DDDD S DB BDDD BB S DS S BDL