পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

아 কাব্য-সুন্দরী । অন্ধুর জন্মিল।” তিনি পথিমধ্যে নির্জনে সন্ধ্যার সময় চটীতে বসিয়া আছেন আর নবকুমারকে ভাবিতেছেন ; ভাবিতে ভাবিতে অন্য-মনে সাহসী দাসীকে জিজ্ঞাসা ८ि6 2 “পেষমন ! আমার স্বামীকে কেমন দেখিলে ? সুন্দর পুরুষ বটে কি না ?” সমগ্র ওমরাহমণ্ডলী মধ্যে যাহার কাহাকে ও সুন্দর . পুরুষ বলিয়া মনে ধরে নাই, দরিদ্র ব্রাহ্মণকে তাহার আজি সুন্দর পুরুষ বলিয়া মনে ধরিয়াছিল। প্ৰণয় ও আত্মীয়তা এইরূপ প্ৰণয়ভাজন ও স্বজনের মুখচ্ছবিকে অনুরঞ্জিত করিয়া দেখায় । লুৎফ-উন্নিসা নবকুমারকে সুন্দর দেখিলেন । হৃদয়ভঙ্গ-জনিত নৈরাশ্যের পর প্রেমের প্ৰতিঘাত জন্মিল। কিন্তু এখনও এ প্ৰতিঘাত আতি মৃদু। ও দুর্বল । লুৎফ-উন্নিসার হৃদয়ে এতকালের পর প্ৰেম প্ৰবেশ করিবার উপক্রম হইতেছে। তিনি যে পূর্বে ভাবিয়াছিলেন কোন ভদ্র ব্যক্তির সর্বময়ী ঘরণী হওয়া গৌরবের বিষয়, এক্ষণে সেই ভদ্র ব্যক্তি কে, স্থির করিলেন। ভাবিলেন যদি আমার স্বামীই সেই ব্যক্তি হন। তবে বড় সৌভাগ্যের বিষয় বটে। কিন্তু সে পথে অনেক অন্তরায় আছে, এখন স্বামীকে লাভ कब्रा बज्र সুসাধ্য নহে। একবার বদ্ধমান দেখিয়া আসা উচিত, পরে নবকুমারের কথা। এই জন্য তিনি বৰ্দ্ধমানে আসিলেন । যাইয়া মেহের-উন্নিসার হৃদয়-কবাট কৌশল পূর্বক উন্মুক্ত