পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মতিবিবি । GY করিয়া দেখিলেন তথায় জাহাঙ্গীরের মূৰ্ত্তি স্থাপিত রহিয়াছে। মেহের-উন্নিসা কহিল :-“ জাহাঙ্গীর সিংহাসনে-আমি কোথায় ?” লুৎফ-উন্নিসা মনে মনে উত্তর করিলেন, তুমিও সিংহাসনে যাইবে । লুৎফ-উন্নিসা বুঝিলেন, যতদিনে হউক স্রোতস্বিনী প্ৰবাহিত হইয়া সাগরের সহিত মিলিত হইবে। যতদিনে হউক হীরক, গলাকনদার তিমিরমিয় খনি হইতে উন্মুক্ত হইয়া রাজমুকুটের শিরোভূষণ হইবে। যতদিনে হউক মেহের-উন্নিসার উজ্জ্বল রূপ দিল্লীর সিংহাসনে প্ৰভাসিত হইবে। আর কেন সে সিংহাসনের জন্য আশা ? লুৎফ-উন্নিসার হৃদয় কথঞ্চিৎ উঠিয়াছিল, এক্ষণে প্ৰবল বেগে আর একবার নিপতিত হইল । তিনি এই বারে মনে মনে সকল আশা বিসর্জন দিলেন । “কিন্তু তাহাতে কি মতিবিবি নিতান্তই দুঃখিত হইলেন ? তাহা নহে । বরং ঈষৎ সুখানুভবও হইল । কেন যে এমন অসম্ভব চিত্ত-প্ৰসাদ জন্মিল, তাহা মতি প্ৰথমে বুঝিতে পাবিলেন না । তিনি আগ্রার পথে যাত্ৰা করিলেন । পথে কয়েক দিন গেল। সেই কয়েক দিনে আপন চিত্তভাব বুঝিলেন।” বুঝিলেন তাহার হৃদয়ে নবকুমারের মূৰ্ত্তি স্থাপিত হইয়াছে, তিনি সিংহাসন লইয়া কি করিবেন ? “দিল্লীর সিংহাসনলালসাও তাহার নিকট লঘু হইল।” তিনি নবকুমারের সহিত মিলিত হইবার জন্য নিতান্ত ব্যস্ত হইলেন । “দারুণ দর্শনাভিলাষ জন্মিল।” তিনি রাজা,