পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՀ কাব্য-সুন্দরী । রাজধানী, রাজ-সিংহাসন সকলই বিসর্জন দিতে উদ্যত হইলেন। রাজসিংহাসন অপেক্ষাও হৃদয়ের প্ৰেম-প্ৰতিমাকে অধিক প্রিয়তর জ্ঞান করিতে লাগিলেন । যে হৃদয় পূৰ্ব্বে পাষাণবৎ ছিল, যে হৃদয় সেলিমের “রমণীহৃদয়জিৎ রাজকান্তিও কখন মুগ্ধ” করিতে পারে নাই, এখন সেই পাষাণ মধ্যে কীট প্ৰবেশ করিল। কীট প্ৰবেশ করিয়া তন্মধ্যে নবকুমারের প্রতিমূৰ্ত্তি খোদিত করিল। লুৎফউন্নিসা সেই প্ৰতিমূৰ্ত্তির চরণতলে রাজসিংহাসন বিক্ষেপ করিয়া তাহা চুৰ্ণ করিয়া ফেলিলেন । আগ্ৰায় উপনীত হইয়া লুৎফ-উন্নিসা দেখিলেন এখন আর সে আগ্ৰা নাই । সে রামও নাই-সে অযোধ্যা ও নাই। সকলই পরিবর্তন, সকলই বিরূপ । এখন রাজপ্ৰাসাদে ক্ষণিক অবস্থান করিতেও তাহার হৃদয়ে যেন শেলবিদ্ধ হইতে লাগিল। তিনি ত্বরায় জাহাঙ্গীরের নিকট বিদায় লাইলেন । জাহাঙ্গীরও কণ্টক কাটলেন। তখন লুৎফ+ উন্নিসা, যেখানে হৃদয় গিয়াছে, সেই খানে যাইতে লাগিলেন। লুৎফ-উন্নিসার হৃদয়ে এখন ঘোর প্রতিঘাত জন্মিয়াছে-প্রেমের দিকে। নৈরাশ্যের পর প্ৰেম-প্ৰতিঘাত জন্মিলে হৃদয়ের ভাব কিরূপ হয়, লুৎফ-উন্নিসায় বঙ্কিমবাবু তাহারই চিত্ৰ প্ৰক্ষেপণ করিয়াছেন । এই প্ৰেম-প্ৰতিঘাত যিনি বুঝিতে পারিবেন। তিনিই লুৎফ-উন্নিসার হৃদয় কেবাটের চাবি পাইয়াছেন । এই হৃদয়-প্ৰতিঘাত জন্য লুৎফ-উন্নিসাকে এত পবিত্ৰ জ্ঞান হয়। হৃদয়-প্ৰতিঘাত