পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৭৯

মতিবিবি । °ስGr না । তিনি নিজ ইচ্ছায় সংসারে প্রবেশ করিতেছেন, কপালকুণ্ডলা ঘটনাক্রমে সংসারে প্রবিষ্ট হইয়া পড়িলেন। সংসার কপালকুণ্ডলাকে গ্ৰহণ করিলেন বটে, কিন্তু চিরবনবাসিনী কখন সংসারা-পিঞ্জরে আবদ্ধ থাকিবার নাহে । তিনি ত্বরায় সে পিঞ্জীর ভঙ্গ করিলেন । লুৎফ-উন্নিসা পতিপ্ৰেমে দৃঢ়-অনুরাগিণী ও পবিত্ৰ হইয়া সংসারে প্ৰবেশ করিলেন, সংসার তাহাকে গ্ৰহণ করিতে চাহে না । কারণ, সংসার এখনও তত পরিশুদ্ধ ও উন্নত হয় নাই । এই খানে আমরা একদা সংসারের নীচতা এবং লুৎফউন্নিসার হৃদয়ভাবের উচ্চতা সুস্পষ্ট উপলব্ধ করি । লুৎফউন্নিসার পবিত্ৰ হৃদয়ভাব ও প্ৰগাঢ় অনুরাগকে অশ্রদ্ধা করিতে আমাদিগের অণুমাত্ৰ ইচ্ছা হয় না। তন্মধ্যে মানব-প্ৰকৃতির যে উচ্চতা ও গৌরব উপলব্ধ হয় তাহা ংসারে বড় দুর্লভ । সেরূপ প্ৰগাঢ়-অনুরাগিণী রমণীমণ্ডলীর রত্ন-স্বরূপ। বিশেষতঃ যে রমণী পাপ-পথ হইতে ঘুণায় রাজসিংহাসন ত্যাগ করিয়া এইরূপ পরিশুদ্ধ প্ৰেমপথে পদাৰ্পণ করিতেছেন—এইরূপ দৃঢ় অনুরোগের সহিত একান্ত মনে পতির শরণাপন্ন হইয়া ভঁাহাকে পূজা করিতে যাইতেছেন, সে রমণীতে যে স্বেচ্ছাকৃত দৃঢ় পতি-পরায়ণতা ও পবিত্ৰত আছে, তাহা সংসারের জড়ভাবাপন্ন পাতিব্ৰত্য ও সঙ্কীর্ণ পবিত্রত হইতে নিশ্চয় গরীয়ান। সংসার অনুন এতদূর উন্নত হওয়া চাই, যেন সে প্রকার পবিত্ৰতার গৌরব বুঝিতে পারে। লুৎফ-উন্নিসাকে যখন সংসার