পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাব্য-সুন্দরী। سواته আর একবার পাপ-পথে ঘূণা জন্মে। ঘুণ জন্মে কেন ? লুৎফ-উন্নিসার জীবিত ও দক্ষ্মীভূত হৃদয়ের অনুতাপ দেখিয়া । বোধ হয় তাহার হৃদয় যেন অনুতাপানিলে দগ্ধ হইয়া, সুবৰ্ণপ্ৰায় উজ্জ্বলিত বিভায় ধৰ্ম্ম-জীবনে পুনৰ্জীবিত হইয়া উঠিল। তাহার হৃদয়-প্ৰতিঘাত তদীয় হৃদয়ে এই অনুতাপ আনিয়াছে। এই দেখুন। সেই অনুতাপ-পাবকে তাহার হৃদয় কেমন বিগলিত হইয়া পবিত্ৰ হইতেছে !

  • অনেক দিন আগ্ৰায় বেড়াইলাম, কি ফল লাভ হইল ? সুখের তৃষা বাল্যাবধি বড়ই প্ৰবল ছিল। সেই তৃষার পরিতৃপ্তি জন্য বঙ্গদেশ ছাড়িয়া এ পৰ্য্যন্ত আসিলাম । এ রত্ন কিনিবার জন্য কি ধন না দিলাম ? কোন দুষ্কৰ্ম্ম না করিয়াছি ? আর যে যে উদ্দেশে এতদূর করিলাম তাহার কোনটাই বা হস্তগত হয় নাই ? ঐশ্বৰ্য্য, সম্পদ, ধন, গৌরব, প্ৰতিষ্ঠা, সকলই তো পৰ্য্যাপ্ত পরিমাণে ভোগ করিলাম। যে ইন্দ্ৰিয়ের জন্য আর সকল ভোগই বিসর্জন করিতে পারি, সে ইন্দ্ৰিয়ও অবাধে পরিতুষ্ট করিয়াছি। এত করিয়াও কি হইল ? আজি এই খানে বসিয়া সকল দিন মনে মনে গণিয়া বলিতে পারি যে, একদিনের তরেও সুখী হই নাই, এক মুহুৰ্ত্ত জন্যও কখন সুখভোগ করি নাই-কখন পরিতৃপ্ত হই নাই। কেবল তৃষা বাড়ে মাত্ৰ । চেষ্টা করিলে আরও সম্পদ, আরও ঐশ্বৰ্য্য লাভ করিতে পারি,