পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মতিবিবি ԳS কিন্তু কি জন্যে ? এ সকলে যদি সুখ থাকিত, তবে এত দিন একদিনের তরেও সুখী হইতাম ।” “তিন বৎসর রাজপ্ৰাসাদের ছায়ায় বসিয়া যে সুখ না হইয়াছে, উড়িষ্যা হইতে প্ৰত্যাগমনের পথে এক রাত্রে সে সুখ হইয়াছে। ইহাতেই বুঝিয়াছি আমি এতকাল হিন্দুদিগের দেবমূৰ্ত্তির মত ছিলাম। বাহিরে সুবৰ্ণ রত্নাদিতে খচিত ; ভিতরে পাষাণ । ইন্দ্ৰিয়-সুখন্বেষণে আগুনের মধ্যে বেড়াইয়াছি, কখন আগুন স্পর্শ করি নাই। এখন একবার দেখি যদি পাষাণ মধ্যে খুজিয়া একটা রক্তশিরা ধমনী-বিশিষ্ট আন্তঃকরণ পাই ?” এই অনুতাপ-বাক্য-পরম্পরায় মতিবিবির হৃদয়-ভাব কেমন স্ফটিক বৎ প্ৰতীত হইতেছে ! তাহার এই অনুতাপ দেখিয়া আমাদিগেরও ইন্দ্ৰিয়সুখে বিতৃষ্ণা জন্মে । আমরা ভাবি, যিনি মতিবিবির ন্যায় বিলাসপথে আশার উচ্চ শৃঙ্গে উঠিতে যাইবেন, তাহাকে এক দিন মতিবিবির ন্যায়। অবশ্য কঁদিতে হইবে । তিনি সম্পদ ও গৌরবের আস্পদ হইতে পারেন, কিন্তু প্ৰকৃত সুখ-সন্তোগে বঞ্চিত থাকিবেন । পাপ-পথে যে কিছুই সুখ নাই, মতিবিবি তাহার সুস্পষ্ট দৃষ্টান্ত । মতিবিবি। এই পাপ-পথ পরিত্যাগ করিয়া পুণ্য-পথে যাইলেন । সে কাৰ্য্যের পরিণাম পাঠকের অবিদিত নাই । কিন্তু মতিবিবি একবার যে পথে পদার্পণ করিয়াছেন তিনি সে পথ সহজে পরিত্যাগ করিবার