পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ኪ2ምo কাব্য-সুন্দরী । পাত্ৰী নহেন। নবকুমার তাহাকে পরিত্যাগ করিলেন, কিন্তু তিনি সহজে নবকুমারকে ছাড়িবার নহেন। তিনি নবকুমারের জন্য আগ্রার সমুদায় ঐশ্বৰ্য্য বিসর্জন দিয়া আসিয়াছেন । বিসর্জন দিয়া যে সংকল্পে পদাৰ্পণ করিয়াছেন, তাহার। তিনি একশেষ না করিয়া কখনই ছাড়িবেন। না । তাহার চরিত্রে এই অটল অধ্যবসায় ও উদ্যোগ সৰ্ব্বস্থানে বর্তমান । তিনি আগ্রার সিংহাসন ও সহজে ছাড়েন নাই। সেই সিংহাসনের আকাজ্যিক্ষনী হইয়া তাহা লাভার্থ কখন যত্নের ক্ৰটি করেন নাই । যাহা ধরিতেন তাহাতে সিদ্ধ হইবার জন্য সাধ্যমতে চেষ্টা করিতেনএই তাহার চরিত্রের একটি অমূল্য গুণ । বুদ্ধিমতী ও কৌশলময়ী মতিবিবি সম্পূর্ণ উদ্যোগিনীও ছিলেন। কপালকুণ্ডলার উপাখ্যানে এই মতিবিবির চিত্ৰ যেমন উজ্জ্বলাবর্ণে অঙ্কিত হইয়াছে, এমন কাহারই নহে । মতিবিবির চিত্ৰ সুস্পষ্ট উজ্জল, কপালকুণ্ডলার চিত্ৰ অস্পষ্ট মলিন । একের চিত্রে উজ্জ্বলতা আছে, অন্যের চিত্রে মৃদু মাধুরী আছে। একের চিত্রে সরলতা আছে, অন্যের চিত্রে বৈচিত্ৰ্য আছে। মতিবিবি প্ৰভাময়ী, কপালকুণ্ডলা মুগ্ধকরী। মতিবিবির চিত্ৰে তুলিকা-রেখা বৰ্ণগৌরবে অলক্ষিত, কপালকুণ্ডলার চিত্ৰ কতিপয় সরল রেখায় অঙ্কিত। মতিবিবি আমাদিগের মনে পূর্ণ-বিভায় অঙ্কিত হয়েন, কপালকুণ্ডলা আমাদিগের মনে ছায়ারূপে বিচলিত হইয়া বেড়ান। মতিবিবি কল্পনায় স্থির থাকেন,