পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b-R कादा-दृश्न्लठ्ठी । বঙ্কিমবাবুৰ মতিবিবি ও কপালকুণ্ডলার চরিত্রে যে চিত্ৰ প্ৰক্ষেপ করিয়াছেন তাহা বোধ হয়। অনেকদূর আমরা প্ৰদৰ্শন করিয়াছি । মতিবিবিকে গ্ৰন্থকার যে স্থলে রাখিয়া গিয়াছেন তাহা তাহার জীবন-কাব্যের এক নুতন সর্গের প্রারম্ভ মাত্র। কল্পনা এই সৰ্গকে প্ৰবুদ্ধ করিতে চাহে। প্ৰবৃদ্ধ করিতে গিয়া তাহাকে কত প্রকার নুতন ভাবে ও প্রেমময় সঙ্কল্পে পরিপূর্ণ করে ! মতিবিবিকে আমরা বাঙ্গালিনী পদ্মাবতী রূপে পুনজীবিত দেখি। তথাপি তাহাকে লাভ করিতে ভয় হয়, কপালকুণ্ডলাকে লাভ করিতে ইচ্ছা জন্মে। কিন্তু মনে হয়। কপালকুণ্ডলা সংসারাশ্রমের সুযোগ্য পাত্রী নহেন। মতিবিবি ও কপালকুণ্ডলা উভয়েই অদমনীয়া ও সাহসিনী । মতিবিবি স্বীয় তেজস্বিতায় সাহসিনী, কপালকুণ্ডলা অজ্ঞানতায় সাহসিনী । ইহার কেহই যেন গৃহমধ্যে আবদ্ধ থাকিবার নহেন, যেন স্বাধীন দুর্দান্তভাবে বেড়াইতে চান । কিন্তু ইহাদিগের এই চরিত্র-সাদৃশ্য সম্পূর্ণ বিভিন্ন অবস্থার পরিণাম। দুই জনে বিভিন্ন দিক হইতে আসিয়া এক স্রোতে মিশিয়াছেন। মিশিয়াই, ইহাদিগের উভয়েরই এমন স্বাধীনভাব আছে, যে একত্রে কিছুকাল থাকিবার নহে। দুই স্রোত দুই দিকে প্ৰবাহিনী রূপে চলিয়া গেল । কপালকুণ্ডলার উপন্যাস-চিত্রে এই দুই দুৰ্দািমনীয়া রমণীর অপর পার্শ্বে কাপালিক গম্ভীর মূৰ্ত্তিতে বসিয়া