পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br8 द-शून्āौ । কাপালিক কহিল “বধাৰ্থ । আতি তীব্ৰ বেগে নবকুমার নিজ হস্ত টানিলেন। যে বলে তিনি হস্ত আকৰ্ষিত করিয়াছিলেন,তাহাতে সচরাচর লোকে হস্ত রক্ষা করা দূরে থাকুক-বেগে ভূপতিত হইত। কিন্তু কপালিকের অঙ্গমাত্ৰও হেলিল না—নবকুমারের প্ৰকোষ্ঠ তাহার হস্তমধ্যেই রহিল। নবকুমারের অস্থি গ্ৰন্থি সকল যেন ভগ্ন হইয়া গেল। মুম্ষুর ন্যায় কাপালিকের সঙ্গে সঙ্গে চলিলেন ।” আবার বলি কি ভয়ঙ্কর চিত্ৰ ! যম যেন নিজে নবকুমারকে মৃত্যুপার্শ্বে লইয়া যাইতেছেন। বঙ্কিমবাবু উপন্যাসকারের যথারীতি অনুসারে এই কাপালিকের ইষ্টসিদ্ধি হইতে দেন নাই। কপালকুণ্ডলার দয়ার ব্যবহারে নবকুমার মুক্ত হওয়াতে কাপালিকের কাৰ্য্যকে অধিকতর ঘূণাহ বোধ হইতে লাগিল । তাহার ইষ্টসিদ্ধি ভঙ্গে, পাঠক সন্তোষ লাভ করিলেন। কাপালিক তখন রোষ প্ৰজলিত হইলেন । রোষ-প্ৰজ্বলিত হইয়া একবার সাগরকুলে বৃহৎ বালিয়াড়ি স্তপের শিরোদেশে দাড়াইয়া ভীম কালাপাহাড়ের ন্যায় দেখিতে লাগিলেন, কোথা দিয়া শিকার ও কপালকুণ্ডলা পলাইয়াছে। কল্পনা এ চিত্ৰকে অনুমান করিতে গিয়া স্তম্ভিত হইয়া যায় ! বঙ্কিমবাবু যখনই এই কাপালিককে দেখাইয়াছেন, তখনই তাহাকে হয়তো এক ভয়ঙ্কর স্থানে, এবং এক ভয়ঙ্কয়া সময়ে উপস্থাপিত করিয়া_আমাদিগের, কল্পনাকে