পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কপাকুণ্ডলা । bᏅᏩ: সহসা একেবারে আশঙ্কিত করিয়াছেন। এই কাপালিক যখন বনস্থলী পরিত্যাগ করিয়া সপ্তগ্রামে উপস্থিত, তখন দেখুন বঙ্কিমবাবু সহসা তাহাকে কি ভয়ঙ্কর অবস্থায় পাঠকের সম্মুখে আনিলেন । “কপালকুণ্ডলা দ্রুত পাদবিক্ষেপে গৃহাভিমুখে চলিলেন। তখন আকাশমণ্ডল ঘনঘটায় মসীময় হইয়া আসিতে লাগিল ৷ কপালকুণ্ডলা আর তিলাৰ্দ্ধ বিলম্ব করিতে পারিলেন না । দ্রুত পদে কাননাভ্যন্তর হইতে বাহিরে আসিতে লাগিলেন । আসিবার সময়ে যেন পশ্চাদ্ভাগে অপর ব্যক্তির পদক্ষেপধ্বনি শুনিতে পাইলেন। কিন্তু মুখ ফিরাইয়া অন্ধকারে কিছু দেখিতে পাইলেন না। কপালকুণ্ডলা মনে করিলেন ব্ৰাহ্মণবেশী তাহার পশ্চাৎ আসিতেছেন । বনত্যাগ করিয়া ক্ষুদ্র বনপথে আসিয়া বাহির হইলেন.। তথায় তাদৃশ অন্ধকার নাহে ; দৃষ্টিপাথে মনুষ্য থাকিলে দেখা যায়। কিন্তু কিছুই দেখা গেল না । কপালকুণ্ডলা মনে করিলেন তাহার চিত্ত ভ্ৰান্তি জন্মিয়াছে। অতএব দ্রুত পদে চলিলেন । কিন্তু আবার স্পষ্ট মনুষ্যগতিশব্দ শুনিতে পাইলেন । আকাশ নীল কাদম্বিনীতে ভীষণতার হইল। কপালকুণ্ডলা আরও দ্রুত চলিলেন । গৃহ অনতিদূরে, কিন্তু গৃহ প্ৰাপ্তি হইতে না হইতেই প্ৰচণ্ড ঝটিকা বৃষ্টি ভীষণরবে। প্ৰঘোষিত হইল। কপালকুণ্ডলা দৌড়াইলেন । পশ্চাতে যে আসিতেছিল সেও যেন দৌড়াইল, এমন্ত শব্দ বোধ হইল। গৃহ দৃষ্টি-পথবিত্তী