পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শৈবলিনী । SoC) আমাদিগের উদ্দেশ্য ছিল না। গ্রন্থের নিগৃঢ় ও সুন্দর ভাব সকল প্ৰস্ফূটন করিতে চেষ্টা করিয়াছি, কতদূর কৃতকাৰ্য্য হইয়াছি বলিতে পারি না । যাহারা বঙ্কিমবাবুর উপন্যাসাবলির সৌন্দৰ্য্য দেখিতে ইচ্ছক নহেন, তাহারা বোধ হয় সুন্দর চিত্ৰ দেখিতে ইচ্ছাক নহেন, নক্ষত্ররাজিবিরাজিত হীরক মণ্ডিত আকাশ দেখিতে ইচছুক নহেন, এবং বিচিত্ৰ পুষ্প সুশোভিত উদ্যানের সুন্দর শোভা দেখিতে ও ইচ্ছক নহেন । তাহাদিগকে আমরা কি বলিব ? তাহারা দূষিত দৃষ্টিশক্তি লইয়া বনবাসী হউন। সংসারের অপূৰ্ব্ব শোভা তাহাদিগের মনোমুগ্ধকর झूठे : द व् । r-80C শৈবলিনী । চন্দ্ৰশেখর গ্ৰস্থাকাশের উজ্জল তারা শৈবলিনী । এ তারা ও গোপনে গোপনে এক চন্দ্রের ( প্ৰতাপ ) প্ৰতি আত্মসমপণ করিয়াছিলেন । শৈশব হইতেই এই চন্দ্রের প্ৰতি শৈবলিনীর অনুরাগ আকৃষ্ট হইয়া দিন দিন বদ্ধমূল হইতে ছিল । তা হার একত্রে ক্রীড়া করিতেন, মালা গাঁথিতেন, জলকেলি করিতেন, সৰ্ব্বদাই একত্রে থাকিতেন । তারার অন্ধ অনুরাগ ক্রমশঃই প্ৰগাঢ়তার হইতে লাগিল । চন্দ্ৰ সকলই বুঝিতে পারিলেন ; কিন্তু জানিয়াছিলেন এ তারার সাহিত তাহার পরিণয় হইবার