পাতা:কাম-সূত্রম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২৯৬

Rbro কাম-সূত্ৰম্। সখীভিক্ষুকীক্ষপণকাতাপসীভবনেষু সুখোপায় ইতি গোণিকপুত্ৰঃ ॥ ৪২ ৷ তস্যা এবং তু গোহে বিদিতনিক্রেমপ্রবেশে চিন্তিতাত্যয়প্ৰতীকারে প্রবেশনমুপপন্নং নিক্রেমণমবিজ্ঞাতকালঞ্চ তন্নিত্যং সুখেপায়ং চেতি বাৎস্যায়নঃ ৷৷ ৪৩ ৷৷ 曙 অনুবাদ । দেবতা পুজার জন্য দেবালয় উদেশে গমন, রথযাত্ৰা প্ৰভৃতি দেবযাত্রা পর্বব, উদ্যান ক্রীড়া, ( যোগ উপলক্ষ) জলে অবতরণ, বিবাহ, যজ্ঞ, গৃহপতনাদি বিপদ, হোলি-প্রভৃতি উৎসব, গৃহদাহাদি অগ্ননুৎপাত, চৌরভীতি চক্রারোহণ, প্রেক্ষাব্যাপার ইত্যাদি সেই সেই জনসন্ধযুক্ত বা বিজন ব্যাপারে সমাগম অর্থাৎ মিলন হইতে পারে। গোণিকপুত্ৰ বলেন,-সখীগৃহ, ভিক্ষুকীগৃহ, ক্ষপণিকাগৃহ এবং তাপসীর আশ্রমে মিলন সুখসাধ্য। বাৎস্যাইন বলেন,- নিৰ্গম পথ নিশ্চয় করিয়া এবং বিপদে প্ৰতীকারের উপায় স্থির রাখিয়া নায়িক গৃহেই অনিয়ত কালে প্ৰবেশ ও নিৰ্গম যুক্তিযুক্ত ; কারণ তাহা নিত্য * সংঘটনীয় ও সুখসাধা, ( আতএব মিলনের উহাই উপযুক্ত স্থান। ৪১-৪৩ ৷৷ ব্যাখ্যা । চক্রারোঙ্গণী-রাজা নূতন জনপদ স্থাপন করলে, তথ্য বাস করাইবার জন্য, গোযান অশ্বযান শিবকা এই সকল যানারে’হণে প্রজাগণকে লইয়া যাইবার রীতি ছিল, তাহারই নাম চক্রারোহণ। সে সময়ে অত্যন্ত জনসম্মর্দি হওয়ায় শিবিকা বিশ্রাম স্থান দিতে অবতারিত হইলে শিবিকা প্ৰবেশ কে কোথায় কি ভাবে করিতেছে, তাহা লক্ষ্য করা কঠিন, অতএব আবতারিত, শিবিকায় পরস্পর সমাগমের উত্তম স্থান। প্ৰেক্ষাব্যাপার-ব্লাঙ্গালয়ে धष्ठिन् । ।।। 8७-8७ ।। অবতরণিকা। “দূতীপ্ৰত্যয় তাহার কার্য্য ও ফল বলা হইয়াছে, কি প্রকার দূতী হইলে তাঁহা দ্বারায় দূতী-প্রত্যয়সাধ্য কাৰ্য্য হইতে পারে, তাই প্ৰকাশ করিবার অভিপ্ৰায়ে দূতী যত প্রকার হইতে পারে, তাহা বলিতেছেন নিস্বল্টার্থ পরিমিতাৰ্থ পত্ৰহারী স্বয়ংদুভী মুদ্রতী ভাৰ্যাদূতী মুকদূতী বাতদন্তী চেতি দূতীবিশেষঃ ॥ ৪৪ ৷৷