পাতা:কাম-সূত্রম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/৩৯

দ্বিতীয়েই ধ্যায়ঃ RN) ঋষিঋণ, দেবঋণ ও পিতৃঋণ এই ঋণত্ৰয়-পরিশোধ ব্ৰহ্মচৰ্য্য যজ্ঞ ও পুত্রোৎপাদন । দ্বারাই হয়,--এই ঋণত্ৰয় পরিশোধ না করিয়া মোক্ষার্থ যত্ন করিতে নাই, ইহাই ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰে কথিত,--ব্রহ্মচৰ্য্য ও গাইস্থ্যেই এই ঋণত্রয়-পরিশোধ হয়। এই সকল কথা বলিবার হেতু এই--জয়মঙ্গল টীকাকার ‘ধৰ্ম্মং মোক্ষঞ্চ” এই সুত্রের যে অর্থ করিয়াছেন তাহার মৰ্ম্ম—“স্থা বরে ধৰ্ম্ম ও মোক্ষের সেবা করিবে-আর এ স্তলে যে মোক্ষের কথা সুত্ৰে আছে, তাহা চতুৰ্ব্বৰ্গবাদীর মতো।” এই ব্যাখ্যা সঙ্গত ন'হে,-কারণ প্রকরণের নাম “ত্রিবর্গ-প্ৰতিপত্তি’ অধ্যায়ের প্রথম সুত্রে ‘ত্ৰিবৰ্গং সেবেত” আছে, ত্রিবর্গেরই লক্ষণ ও ত্রিবর্গেরই বিপ্ৰতিপত্তি এই অধ্যায়েই আছে-—অকস্মাৎ একটি সুত্রে চতুৰ্ব্বৰ্গবাদীর মত লইয়া উপক্ৰমউপসংহার-সঙ্গতিহীন “মোক্ষ’ সেবার বিধি সুত্ৰকার লিপিবদ্ধ করিলেন ; ইহা কি DBBDBDTS SDS KBBD DBLD BDD KKBLL SDDB BDuDBBB DD BDBDD বলিয়াছি। ত্ৰিবৰ্গবাদীরা মোক্ষকে যে মানেন না। তাহা নহে,-কিন্তু স্বর্গের ন্যায় মোক্ষ ও ধৰ্ম্মবর্গেমই অন্তর্গত ইহাই আঁর্তাহাদিগের মত। প্ৰবৃত্তি ধৰ্ম্ম-অৰ্থসেবা ও কামসেবার সহিত সেবিত হয় এবং সুত্ৰকার তাহ নিজ সুত্র দ্বার" স্পষ্ট করিয়া ঋলিয়াছেন, সুতরাং এই সূত্রে ‘ধৰ্ম্মং মোক্ষঞ্চ” ইহা পৃথক বৰ্গদ্বয়েব জাপক নষ্ঠে, কিন্তু ধৰ্ম্মবর্গবিশেষ মোক্ষ ধৰ্ম্মেরই এ স্থানে গ্ৰহণ হইয়াছে— এই অর্থই সঙ্গত। যে অর্থবৰ্গ সেবাকােল বাল্য, সে সময়ে “ব্ৰহ্মচৰ্য্যং ত্ববিদ্যা ওগুণাৎ’ ( ৬ সুত্ৰ ) দ্বারা ব্ৰহ্মচারিধৰ্ম্মসেবার ব্যবস্থা আছে,--বিবাহ ধৰ্ম্মকন্যাসংপ্ৰযুক্ত ক অধিকরণে স্পষ্টীভূত । অতএব সেই সকল ও তৎসহ অনুষ্ঠেয়। ধৰ্ম্ম-ব্যতীত ধৰ্ম্মই ত মোক্ষৰক্ষ্ম। তবে একটা প্রশ্ন হইতে পারে—“মোক্ষধৰ্ম্মঞ্চ’ না বলিয়া ‘ধৰ্ম্মং মোক্ষঞ্চ” এইরূপ বলিলেন কেন ? তাহার উত্তর এই যে, মোক্ষধৰ্ম্ম বলিলে মোক্ষের সাক্ষাৎ হেতু যে আত্মসাক্ষাৎকার, কেবলমাত্র তাহাঁই বুঝাইতে পাবে। আত্মশ্ৰবণ, মনন ও নিদিধ্যাসন এই যে মোক্ষের পরম্পরা। কারণ, তাহাও এই স্থলে গ্ৰাহ, ইহা বুঝাইবার জন্য ধৰ্ম্মকে পৃথকভাবে স্থাপন করা হইয়াছে; তবে সে ধৰ্ম্ম যে মোক্ষসম্বন্ধশ্বন্ত নহে, তাহা জ্ঞাপনার্থ 'মোক্ষৎ’ পদও প্রদত্ত হইয়াছে। অথবা এই মোক্ষ জীবন্মুক্তি, আর ' ধৰ্ম্ম সেই