পাতা:কায়স্থ-তর্ক সমাধান.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(? • ) তাহারা আর ক্ষত্ৰিয় বৈপ্তের প্রতি কৃপা দৃষ্টি করেন নাই , এবং ক্ষত্রিয় বৈপ্তগণ ঐরুপ নবসংস্কৃত ব্রাহ্মণদিগের "প্রতিও আদেী শ্রদ্ধ করেন নাই। ইহার জন্য উত্তর কালে রাটীয় স্বাৰ্ত্ত রঘুনন্দন, ব্রাহ্মণ ও শূদ্র ছাড়া ক্ষত্রিয় বৈপ্ত ভূলোকে দেখিতে পান নাই। যাহা হউক এস্থলে বলা উচিত তাৎকালিক ক্ষত্রিয় ও বৈশ্ব কি জন্ত ঐ নব সংস্কৃত ব্রাহ্মণ সমাজের পর শ্রদ্ধাহীন হইয়াছিলেন । অশ্রদ্ধার আর কোনই কারণ নাই ; যে অজ্ঞানতার জন্য এখন ব্রাহ্মণ সমাজ, উপনীত কায়স্থ সমাজকে অশ্রদ্ধা করিতেছেন তাহারাও তৎকালে সেই অজ্ঞানতার জন্তই ব্রাহ্মণদিগের প্রতি অশ্রদ্ধা কবিয়াছেন । কেন না তাহারা জানিতেন না যে দেশ বিপ্লবে অথবা অনিচ্ছা সত্ত্বে পাপানুষ্ঠান করিলে বেদাধ্যয়নেই শুদ্ধ হয়, ইহা মানবধৰ্ম্ম শাস্ত্রের ১১৪৬ মত। তাহারা বুঝিয়াছিলেন ইহার একটা ব্যাভিচার দ্বারা সমাজ বিপ্লব ঘটাইতেছে , তাই এই দশা । এইরূপ ব্রাহ্মণ সমাজে কে কে উপনয়ন দিয়াছিলেন তাহার ২১ টা দৃষ্টান্ত দেখুন। প্রথমতঃ বঙ্গদেশে আদিশূর নৃপতি সাবস্বত ব্রাহ্মণ সমাজের সাত শত সৈনিক পুরুষকে ব্রহ্মণ্য প্রদান করেন । ইহা প্রায় সাডে চারিশত বর্ষ পুৰ্ব্বে চন্দ্রদ্বীপাধিপতি পরমানন্দরায়ের সভাপণ্ডিত মহাত্মা ধ্রুবানন্দ ব্রাহ্মণ কায়স্তের কুলগ্রন্থে লিখিয়া গিয়াছেন – “বয়ং সপ্তশতেভ্যোহলীে সৈনিকেভো দদৌ মুদা । ভবন্তু ব্রাহ্মণঃ সৰ্ব্বে সত্যং সত্যং মমাজ্ঞয়া ৷” মহাবংশাবলী । অর্থাৎ রাজা তাহর সপ্তশত সৈনিককে বব প্রদান করিলেন “আমি সত্য সত্য প্রতিজ্ঞা করিয়া বলিতেছি আমার আজ্ঞায় তোমরা সকলে ব্রাহ্মণ হও ।” বঙ্গদেশে ই হারা সাতশতী ব্রাহ্মণ নামে পরিচিত ও সামবেদী।