পাতা:কায়স্থ-তর্ক সমাধান.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(>> ) দ্বিতীয়তঃ মথুরা প্রদেশের ব্রাহ্মণ ইহার বরাহমুনি কর্তৃক জিত্ব প্রাপ্ত হইয়া ছেন তদযথা— “মাগধে ব্রাহ্মণ পূৰ্ব্বং কল্লিতে দ্বিজা এবচ। বরাহন্ত তু ঘৰ্ম্মেণ মাথুর জায়তে তথা ॥” ভৃগুসংহিতা । অর্থাৎ পূৰ্ব্বে যে প্রকারে মাগধ ব্রাহ্মণ দিগকে দ্বিজত্ব প্রদান করা হইয়াছিল, সেইরূপ ববাহ মুনির যজ্ঞে (ঘৰ্ম্ম-যজ্ঞ ইতি যান্ধনিঘণ্ট,৩১৭) মাথুরগণ ব্রাহ্মণত্ব প্রাপ্ত হইয়াছে।’ তৃতীয়তঃ ব্রহ্মণ্য দাতা ভগবান শঙ্করাচাৰ্য্য এতৎসম্বন্ধে মাধবাচার্য্যের ও বিস্কারণ্যের শঙ্কর বিজয়ের ১৫ সর্গের ২য় শ্লোকে ধনপতিসুরি একটা দাক্ষিণাত্য ব্রাহ্মণের ব্রহ্মণ্য প্রাপ্তির প্রমাণ দিয়াছেন যথা— “তন্মদ্বিমুঢ়তাং ত্যক্ত ভ্ৰষ্ট্রের্বাহ্মণ জাতিত প্রায়শ্চিত্ত মন্থষ্টেয়মিত্ত:ক্ত্যাস্তে পরং গুরুং নত্ব প্রায়শ্চিভমেবান্ত কৃত্ব শুদ্ধাদ্বৈত সংবতা: সাধুবুহুt: সৎকৰ্ম্মস্থা ।” ডিণ্ডিম টাকা । অর্থাৎ ব্রাহ্মণ জাতি হইতে ভ্ৰষ্ট, তদোপদেশে বিমূঢ়ত পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক, ‘তুমি প্রায়শ্চিভের অনুষ্ঠান কর এই কথা শুনিয়া সে ত্বরায় পবম গুরুকে নমস্কার দ্বারা গ্রােয়শ্চিত্ত করিয়া গুন্ধাদ্বৈত মত গ্রহণ করিল , এবং সংবৃত্তিশীল ও সৎ কৰ্ম্মে মনোনিবেশ করিল। শুদ্ধদ্বৈত মত গ্রহণ শঙ্কবাচাৰ্য্যকে প্রণাম এই দুই ইহার প্রায়শ্চিত্ত হুইল। বঙ্গব রাষ্ট্ৰীয় বারেন্দ্র ব্রাহ্মণগণ এই প্রকার সংস্কার প্রাপ্ত হন নাই কি ? নিশ্চয়ই হইয়াছেন । নতুবা বঙ্গীয় কায়স্থগণের অশ্রদ্ধার তথা উপনয়ন হীনতার আর কি কারণ আছে ? রাষ্ট্ৰীয় ও ধারেন্দ্র