নারায়ণ, পরাশর, এড়াইল দামোদর,
উপনীত কুচট্যানগরে।
তৈল বিনা কৈলু স্নান, করিলু উদকপান,
শিশু কাঁদে ওদনের তরে।
আশ্রম পুখরি-আড়া, নৈবেদ্য শালুক পোড়া,
পূজা কৈনু কুমুদ প্রসূনে।
ক্ষুধাভয় পরিশ্রমে, নিদ্রা যাই সেই ধামে,
চণ্ডী দেখা দিলেন স্বপনে॥
সেদিনকার শক্তির স্বপ্ন স্বপ্নমাত্র, সে স্বপ্নের মূল ক্ষুধা ভয় পরিশ্রমের মধ্যে।
শোনা গেছে, ইতিহাসের গান অমিত্রাক্ষরে হয় না, এর চরণে চরণে মিল। সেই পাঁচ শশা বছর পূর্বের এক চরণের সঙ্গে আজ পাঁচ শশা বছর পরের এক চরণের চমৎকার মিল শোনা যাচ্ছে না কি? য়ুরোপের শক্তি-পূজক আজ বুক ফুলিয়ে বড়ো সমারোহেই শক্তির পুজো করছেন— মদে তার দুই চক্ষু জবাফুলের মতো টক্টক্ করছে, খাঁড়া শাণিত, বলির পশু যুপে বাঁধা। তারা কেউ কেউ বলছেন আমরা যিশুকে মানি নে’; আবার কেউ কেউ ভারতচন্দ্রের মতো গোঁজামিলন দিয়ে বলছেন, যিশুর সঙ্গে শক্তির সঙ্গে ভেদ করে দেওয়া ঠিক নয়, অর্ধনারীশ্বর মূর্তিতে দুজনকেই সমান মানবার মন্ত্র আছে। অর্থাৎ, কে দল মদ খাচ্ছেন রাজাসনে বসে, আর-এক দল পুলপিটে চড়ে।
আর আমরাও বলছি, শিবকে মানব না। শিবকে মানা কাপুরুষতা। আমরা চণ্ডীর মঙ্গল গাইতে বসেছি। কিন্তু সে মঙ্গলগান স্বপ্নলব্ধ। ক্ষুধা-ভয়-পরিশ্রমের স্বপ্ন। জয়ীর চণ্ডীপূজায় আর পরাজিতের চণ্ডীগানে এই তফাত।
স্বপ্নেতেই যে আমাদের চণ্ডীগানের আদি এবং স্বপ্নেতেই যে তার অন্ত