পাতা:কালিদাসের গ্রন্থাবলী - কালিদাস.pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

/o পরিপূর্ণ হয়, সেই সময় মহাভাগ কালিদাস আবিভূতি হইয়াছিলেন। কবি প্ৰকারান্তরে বলিলেন-“আসমুদ্রক্ষিতীশানাম”। ইহাতে সমূদ্র গুপ্তের কথা অবগত হওয়া যায়। ] “তস্মৈ সভ্যাঃ সভাৰ্য্যায় গোপ্তে, গুপ্ততমেন্দ্ৰিয়াঃ”। “অম্বাস্য গোপ্ত গৃহিণীসহায়ঃ।” “তনু প্ৰকাশেন বিচেয়তারকা” “প্ৰভাতকল্পা শশিনেব শর্বরী” “ইক্ষুচ্ছায়নিষাদিন্যস্তস্য গোপ্ত গুণোদয়ম। আকুমারকথোদঘাতাং শালিগোপ্যে। জগুৰ্যশঃ” ৷ ইত্যাদি শ্লোকাংশে আমরা সমুদ্রগুপ্ত, চন্দ্ৰগুপ্ত, দ্বিতীয় কুমার গুপ্তের নাম অবগত হই। প্রয়াগস্তম্ভে সমুদ্রগুপ্তের যে বিজয়কীৰ্ত্তি খোদিত আছে, তাহার সহিত রঘুর দিগ্বিজয়ের বেশ সাদৃশ্য দেখিতে পাওয়া যায়। কালিদাস সাম্রাজ্যবাদীর ন্যায় রঘুর বিজয়কাহিনী অতি নিপুণতার সহিত বৰ্ণনা করিয়াছেন। গুপ্ত সম্রাটেরা বিদ্যা প্রচারের জন্য মুক্তহস্ত ছিলেন, যাগ-যজ্ঞে যথাসর্বস্ব ব্যয় করিয়া স্ববেশবাসীকে সমৃদ্ধি ও সদাচার-সম্পন্ন, অজার ও বলবীৰ্য্য-সম্পন্ন করিয়াছিলেন। কালিদাস তাহার কাব্যে ব্ৰাহ্মণাদি বর্ণচতুষ্টয়কে আপনি আপনি বর্ণোচিত নিয়ম পালন করিয়া ব্ৰাহ্মণকে ব্ৰাহ্মণ হইবার জন্য, ক্ষত্রিয়কে ক্ষত্ৰিয়,বৈশ্যকে বৈশ্য আর শূদ্ৰকে শূদ্ৰ হইবার জন্য উপদেশ দিয়াছেন। কেহই এই সমস্ত নিয়ম লঙ্ঘন করিতেন না বলিয়া সে সময় দেশবাসী সর্বতোভাবে সমৃদ্ধিসম্পন্ন এবং ভুজবলে সকলের আদর্শ হইয়াছিলেন। কালিদাসের সময় আমরা দেখিতে পাই, ভারতবাসী বাণিজ্যে বিশেষ সমৃদ্ধি-সম্পন্ন হইয়াছিল। ঐ বাণিজ্য ভারতের বাহিয়ে, জলপথে ও স্থলপথে উভয় পথেই প্রাধান্য লাভ করিয়াছিল। বিদেশে মৃত বণিকের উত্তরাধিকারিনির্ণয়ে কাতুির্গাস নিজের অভিজ্ঞতা বেশ দেখাইয়াছেন। ক্রুশিল্প, চিত্রশিল্প, জ্বাস্করণৰ্বি স্বামীদের দেশবাসী যথেষ্ট নিপুণতা দেখাইয়াছেন, ইহা আমন্ত্র কবির গ্রন্থে ক্লািররূপ্লে অবগ্নত হই ।” ।