পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাৎপৰ্য্য । b? Y সেই নৃত্যে আবার বিদ্যুতের বিলাস আছে, মেঘ-প্রিয় শিখীর “ষড়জ-সংবাদিনী’ কেক আছে, ইহা হিমাদ্রির বহিঃ-সৌন্দৰ্য্য। তথায় বিদ্যাধর-সুন্দরী-গণ, মসৃণ। ভূৰ্জপত্রে “ধাতুরসের’ দ্বারা : লেখ-রচনা করিয়া থাকে, গুহা-মুখোথিত সমারণে, তথায়, কীচকরন্ধ, পরিপূর্ণ হইয়া, বংশীর স্বরের ন্যায় মধুর স্বর-সংযোগে, কিন্নর-কিন্নরী-গণের বিলাস-সঙ্গীতে তান-প্ৰদান করিয়া থাকে, তথায় গজেন্দ্র-গণের কাপোল-ঘর্ষণে ছিন্নত্বক হইয়া সরল-দ্রুমনিচয় সুরভি নির্যাস বর্ষণ করে, তাহাতে সমগ্ৰ সানুদেশ সৌরভে আমোদিত হয়,-এ সমুদয় হিমালয়ের বহিঃ-সৌন্দৰ্য্য । তথায় চমরী-গণ তাহদের “চন্দ্ৰ-মরীচি-গৌর’ চামর-পঙক্তি আনত্তিত করিয়া যখন চলিয়া যায়, তখন মনে হয়, বুঝি শত-সহস্ৰ চামর-ধারিণী কিঙ্করী নগাধিরাজের পরিচর্য্যা করিতেছে,-ইহা হিমালয়ের বহিঃ-সৌন্দৰ্য্য । ( ১ ) আর হিমালয়ের যে অপ্রতিম স্থৈৰ্য্য, অনন্য-সুলভ গাম্ভীৰ্য্য, চিরতুষারময়ত্ব, এই সকল তঁহার অন্তঃ-সৌন্দৰ্য্য। হিমালয়ে এই উভয়বিধ সৌন্দর্ঘ্যের অনুপম সমাবেশ আছে বলিয়াই, তিনি নগা-কুলের অদ্বিতীয় অধিরাজ । তিনি আকারে যেমন পূর্বাপর-সমূদ্রাবগাহী—বিরাট, স্থিরতাগম্ভীরতা প্ৰভৃতি গুণ-সম্পদেও তদ্রুপ প্ৰকাণ্ড-অসাধারণ। তাই বলিতেছিলাম যে, যাহাতে বহিরন্তর—উভয় সৌন্দর্ঘ্যের সন্মিলন আছে,-তােহা অধিকতর কমনীয়। ] ইন্দ্ৰাদি-দেবগণ যখন দেখিলেন যে, শ্মশান-চারী, বিভূতি (a) Rat, R-t-) 0 \