পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাৎপৰ্য্য । by G. ঔদাসীন্য-পূর্বক, কেবল তাহার নাম শুনিয়াই তদীয় চরণোদেশে আত্ম-সমৰ্পণ করিয়াছিলেন। প্রণয়ের এবংবিধ বিচিত্র স্বচ্ছুরণ এ-ই নূতন । বিষয়ান্তর নিরপেক্ষ সমাধি-মগ্ন স্থাণুর সেবা করিয়াই পাৰ্বতীর কত তৃপ্তি । শুশ্ৰষা করিতে করিতে যদি কোন সময়ে গৌরীর ক্লান্তি-বােধ হয়, তবে তখন তিনি, ধ্যানস্থ । নিমীলিত-নেত্ৰ চন্দ্ৰ-শেখরের পুরোভাগে উপবেশন পূর্বক মুগ্ধ নয়নে, তাহার ললাট-চন্দ্রের দিকে অনিমেষ চাহিয়া থাকেন, ইহাতেই গৌরীর কত আনন্দ ! এইভাবে পাৰ্বতীর দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, ক্ৰমে বৎসরের পর বৎসর অতি বাহিত হইতে লাগিল। হঠাৎ একদিন, তাহার সখী-রূপিণী। বন-দেবতারা তাঁহাকে বসন্তের ফুল, পত্র, পল্লবে কতই না। সাজ সজ্জা করিয়া দিলেন। গ্রহের এমনই বিপাক, যে, বাছিয়া বাছিয়া সেই দিনটিতেই ব্যোমকেশের সমাধি-ভঙ্গের জন্য, দেবগণ প্রেরিত রতি, মদন ও বসন্ত তথায় উপস্থিত। রতি মদন ও বসন্তের প্রভাবে পাৰ্বতী-চিত্তে একটু বিকৃত-ভাব ঘটিবার উপক্রম হইল। এতদিন সরস্বতীর প্রবাহের ন্যায় যে প্রণয় পাৰ্বতীর হৃদয়ের। অতি নিগুঢ়-প্রদেশে লুকায়িত ছিল, আজ তাহার ঈষদ বহিরুন্মেষ। হইল। আমনি, এত দিনের এত পরিচর্য্যা, এত আত্ম-সমৰ্পণ, সমস্তই পাণ্ড হইল। পাৰ্ব্বতী-হৃদয়ের সেই অতুল নিঃস্বার্থ প্ৰেমে কামের কলঙ্কিনী ছায়ার প্রতিবিম্বনে উমার এত; সাধ্য-সাধনা সব ব্যর্থ হইল । অমন প্ৰণয়ের ত্ৰিসীমাতেও যদি মদনের মলিন করষ্পর্শ হয়, তবে তাহা বড়ই শোচনীয়, যৎপরো