পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১১

( 0 ) সমুদয় অপুর্ব অপুৰ্ব্ব সমালোচনা পুস্তক প্রণয়ন করিয়াছেন, সে সমুদ পাশ্চাত্য সাহিত্যু-ক্ষেত্রের, এক একটি অভ্ৰভেদী মনুমেণ্ট” বলি অত্যুক্তি হয় না। এখনও ‘সেক্সপীয়র সোসাইটী’ নামিকা সfি অদম্য উৎসাহের সহিত, উক্ত মহাকবির কাব্য-সমালোচনায় ত হিয়াছেন। কেবল সেক্সপীয়রের নহে, পাশ্চাত্য অপরাপর কবি কাব্যাবলীও ঐ প্রকারে সমালোচিত হইতেছে। পাশ্চাত্য-পণ্ডিতগণ, ' শের মহাকবির আলোচনা করা,স্ব স্ব জাতীয় গৌরব বলিয়া মনে কৰে কিন্তু হায়, আমাদের মহাকবি কালিদাস-ভবভূতি প্ৰভৃতির ও নিস্তান্দিনী কবিতাবলীর ঐ ভাবে আলোচনা করিতে আমরা কয় ৎপর ? যে কালিদাসের কবিতারসের কিঞ্চিনমাত্ৰ আস্বাদনে তদীয় অলৌকিক সৌন্দৰ্য্য-সৃষ্টির যৎকিঞ্চিৎ অবধারণে, আমরা জ্ব সার্থক মনে করি, যে কালিদাসের কাব্যাবলীর আলোচনা-কালে, অঙ্গ সংসার ভুলিয়া যাই, আপনাকে ভুলিয়া যাই, তন্ময় হইয়া পড়ি, কালিদাসের কবিতার আলোচনা আমরা কয়জনে করিতে উৎসুক ? যে দিন মাহেন্দ্র-ক্ষণে, মহামতিসাঁউইলিয়ম জোনস, কালিদ কবিতার প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়ছিলেন, যে দিন মণিয়র উইঞ্জি উইলসন প্ৰভৃতি পাশ্চাত্য গুণভজ্ঞ পণ্ডিতগণ, আমাদের উপেক্ষিত কবিকে আদর করিয়া, তাহাদের স্বদেশের সম্মুখে পরিচিত করিয়াছি তদবধি আজ পৰ্যন্ত, ইংলণ্ড, জাৰ্ম্মাণি, ফ্রানসূ-প্ৰভৃতি দেশের :ি সমাজে, কালিদাসের কবিতা, কত ভাবে, কত নিপুণতার সহিতই আলোচিত হইতেছে! কিন্তু আমরা উদাসীন । আমরা এমনই “গ বেদী’ (১) হইয়া পড়িয়াছি, যে, কিছুতেই যেন চৈতন্য নাই ! M (১) ত্বৰুছোদাৎ শোণিত আবাৎ মাংসস্য ফ্রন্থনাদপি । ਲਾe . ਗਗ