পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sv <३†īिांग । কলেবর ঘৰ্ম্মাক্ত হইয়া উঠিল। তিনি স্থানান্তরে গমন করিবার জন্য যে চরণ শূন্যে উত্তোলন করিয়াছিলেন, তাহা শূন্যেই উত্তোলিত রহিল। অতএব, পথিমধ্যে কোনও শৈলে প্ৰতিহত হইলে, নদীর জল যেমন ক্রমশঃ স্ফীত হইতেই থাকে, কিন্তু অগ্রসরও হয় না, পশ্চাদদিকেও যায় না, তদ্রুপ, শৈলেন্দ্ৰ-দুহিতা অগ্রসরও হইতে পারিলেন না, বা পশ্চানু নিবৃত্তও হইলেন না । তিনি চিত্ৰাপিতার ন্যায় দাড়াইয়াই রহিলেন। অধোমুখী রাজ-নন্দিনীর তাদৃশ নিশ্চল নিস্পন্দ-অবস্থান-দর্শনে, চন্দ্ৰশেখর হাসিতে হাসিতে কহিলেন অদ্যপ্ৰভৃত্যুবনত্যাঙ্গি ! তবাস্মি দাসঃ ক্রীতস্তপোভিরিতি বাদিনি চন্দ্রমৌলৌ হে অবনতাঙ্গি ! আজি হইতে আমি তোমার গুণ-মুগ্ধ দাস হইলাম, তুমি তপস্যার দ্বারা আমাকে ক্ৰয় করিলে। ইন্দুভূষণের মুখে এই কথাটি শ্রবণ করিব মাত্রই তপস্বিনী গৌরী অহ্নায় সা নিয়মজং ক্লামমুৎসসৰ্জ । এই দীর্ঘকাল-ব্যাপিনী প্ৰাণ-প্ৰাতিনী তপস্যার যত কিছু কষ্ট, যত কিছু গ্লানি, সমস্তই যেন অকস্মাৎ ভুলিয়া গেলেন। তঁহার তপঃক্ষাম পতিতপ্ৰায় দেহে নবজীবনের আবির্ভাব হইল । আজ উমার সম্মুখে তদীয় জীবন-নাটিকার আর এক নূতন অঙ্ক, সহসা উন্মুক্ত হইল।