পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার । SOS এইস্থলে আবার একটি স্বয়ংবর-সভার অনুষ্ঠান করিয়াছেন। শঙ্কর-শঙ্করীর আন্তরিক মিলন, পূর্বেই সম্পন্ন করিয়া, পুনরায় বহির্মিলনের জন্যই এই স্বয়ংবরের অনুষ্ঠান। চিত্রকর কালিদাস । উহা সঙ্গত মনে করিলেন না । তিনি দেখিলেন, এমন সুন্দর চিত্রে অতিরিক্ত যাহা কিছু থাকিবে, তাহাই উহার আবর্জনাস্বরূপ। প্ৰকৃতির শাসনে যে কুসুম আপনিই বিকসিত-প্ৰায়, তাহার উপর আবার বল-প্রয়োগ কেন ? অপার্থিব চিত্রে পার্থিব কর-স্পর্শ কেন ? উহা সৌন্দৰ্য্যের ঘোর পরিপন্থী। তাই তিনি ঐ সকল বিষয় পরিত্যাগ করিয়াছেন । হিমালয়-সদনে হর-পার্বতীর বিবাহ সম্পন্ন হইয়া গেল । ব্ৰহ্মার বাক্য সফল হইল। তারকাসুরের সৌভাগ্য-লক্ষনীর আসন কম্পিত হইল। সরস্বতী স্বয়ং আসিয়া সেই বধূবরের স্তুতি করিলেন। অপসারগণ অতিশয় যত্বের সহিত, দম্পতির শ্ৰীতি-বৰ্দ্ধন-মানসে, এক অভিনয় করিলেন। স্বগের সমস্ত দেবগণ সেই স্থলে সমবেত । হর-পার্বতীর আজ প্ৰীতির সীমা নাই। এমন সময়ে, মহেন্দ্ৰক্ষণ বুবিয়া, দেববৃন্দ অঞ্জলিবদ্ধ-করে, আশুতোষের নিকটে ভস্মীভূত পঞ্চবাণের পুনজীবন ভিক্ষা করিলেন। বিরূপাক্ষ যখন মদনকে ভস্মসাৎ করিয়াছিলেন, তখন তিনি ছিলেন “অপরিগ্রহী, আর আজ তিনি স-পরিগ্ৰহ, উমার সহিত মিলিত, অৰ্দ্ধ-নারীশ্বর-মুৰ্ত্তি। আজ আর র্তাহার। সে অন্তঃকরণ নাই, কামকে হারাইয়া কমপ্ৰিয়া, রতির যে কি ! দশা হইয়াছে, তাহা তিনি আজ মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে বুঝিতেছেন। তাই !