পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S VOO कांक्षिांग । কবির প্রধান গুণ সৃষ্টি-নৈপুণ্য, অর্থাৎ সুন্দর সুন্দর চরিত্রসৃষ্টি এবং সেই সৃষ্ট চরিত্রাবলীর দেশ, কাল, ও অবস্থানুযায়ী সমাবেশ-বিষয়ে কৌশল। এই কৌশল যাহার নাই, র্তাহার রচনায় অন্য বহুবিধ গুণ থাকিলেও, উক্ত রচনাকে উৎকৃষ্ট আখ্যা দেওয়া যাইতে পারে না । গীত-গোবিন্দ, মহানাটক, ঋতু-সংহার প্রভৃতি কাব্যে বহুবিধ গুণ থাকা সত্ত্বেও উহাদিগকে প্ৰধান কাব্য বলিয়া গণ্য করা যায় না । যদিও ঐ সমুদয় কাব্যের প্রায় সর্বত্রই প্ৰসাদ-মাধুৰ্য্য প্রভৃতি গুণের সস্তাব আছে, স্বভাবের প্রকৃত বর্ণন আছে, কিন্তু সৃষ্টি-নৈপুণ্য উহাতে এক প্রকার নাই বলিলেও হয়। সৃষ্টি-বিষয়ক নৈপুণ্য বা চাতুৰ্য্যই কাব্যের জীবন। সৃষ্টি-চাতুৰ্য্য এক দিকে, স্বভাবের অনুরূপ হইলে যেমন মনোরম হয়, স্বভাবের প্রতিকুল, অর্থাৎ যাহা বিশ্বের সৃষ্টিতে পরিদৃষ্ট হয় না, তাদৃশ বিশ্ববিরোধী হইলে আবার তেমনই বিরক্তি-জনক হয়। এই জন্যই আরব্যোপন্যাসের অধিকাংশ ঘটনা বা ‘পক্ষিীরাজ ঘোটকের” গল্প সহৃদয়-সম্মত নহে। স্বভাবের নিয়মানুসারে, যে সকল ব্যাপার নিত্য ঘটিয়া থাকে, চিরদিন ঘটিয়া আসিতেছে, কবির স্মৃষ্টিতে তদনুযায়ী ব্যাপারই থাকা উচিত। তবে, কবি যদি তঁহার সৃষ্টি-কৌশলে, ঐ ব্যাপার-সমূহকে স্বাভাবিক ব্যাপার অপেক্ষা অধিকতর মনোহর ও বৈচিত্ৰ্য-সম্পন্ন করিতে পারেন, তাহা হইলে কবির সে কাব্য আরও সুন্দর হয়। যেমন আত্মত্যাগ, ইহা মানবের একটী প্রধান গুণ, শ্রেষ্ঠ সম্পদ। সংসারে