পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩২ कांदिाज । হইল কৈ ! যে কাব্যে সমাজের কোন উপকার সাধিত না হয়, তাহাকে উত্তম কাব্য বলা যাইতে পারে না । সমুদ্রের বেলাভূমিতে বসিয়া, অস্ত-গমনোন্মুখ সূৰ্য্য দেখিতে বড়ই সুন্দর ; পৰ্বতের শিখরদেশে দাড়াইয়া দূরে—অধোদেশবৰ্ত্তিনী স্তিমিত পৃথিবীর শোভা দেখিতে বড়ই সুন্দর; কবি, হয়ত তঁহার চিত্ৰসম্পাদিনী ক্ষমতার প্রভাবে, ঐ দুই মূৰ্ত্তির প্রতিকৃতি নিৰ্ম্মাণ করিতে পারেন, কিন্তু কবির নিৰ্ম্মিত ঐ প্রতিকৃতির দর্শনে ক্ষণস্থায়ী আমোদ ব্যতীত দর্শকের অন্য কোনও উপকার সাধিত হয় কি ? দর্শকের কোন শিক্ষা হয় কি ? যে সৃষ্টিতে আমোদ ব্যাতিরিক্ত অন্য কোনই লাভ নাই, তাদৃশ কাব্য উৎকৃষ্ট নহে। সংসারে আমোদ-লাভের ত অনেক উপায় আছে। ক্ষণকালের জন্য হৃদয়ের তৃপ্তি-সাধনোপযোগী বহু পদার্থই ত ইতস্ততঃ বৰ্ত্তমান রহিয়াছে। তবে আবার কাব্যের প্রয়োজন কি ? চিত্তের ক্ষণিক আমোদ সম্পাদনের জন্যই যদি কাব্য পাঠ করিতে হয়, তবে ‘আরব্যোপন্যাস’, ‘ভূত ও মানুষ’, ‘কঙ্কাবতী” প্রভৃতি কাব্যই ত একমাত্র পাঠ্য হইয়া উঠে। অথবা যে সকল কাৰ্য্যে মনের সাময়িক আনন্দ জন্মে, সেই সকলের অনুষ্ঠান করাইত উত্তম। যদি বল, অবিশুদ্ধ উপায়ে চিত্তপ্ৰসাদ-লাভ অপেক্ষা, কাব্যাদি-পাঠ-রূপ বিশুদ্ধ উপায়ে যদি, চিত্ত-তৃপ্তি জন্মে, তবে মন্দ কি ! তদুত্তরে বক্তব্য এই যে, তাস, পাশা, দাবা প্ৰভৃতিও ত অবিশুদ্ধ নহে, আমোদ লাভই যদি তোমার একমাত্ৰ লক্ষ্য হয়, তবে ঐ সকলের অনুশীলনই ত