পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঘুবংশ। NVS)\2) উচিত, কাব্য পাঠের আবশ্যকতা কি ? সুতরাং স্বীকার করিতে হইবে যে, পাঠকের হৃদয়ের আমোদ-বিধান ব্যতীত, কাব্যের অন্য উদ্দেশ্যও আছে। কিন্তু সে উদ্দেশ্য কাব্য-শরীরে এতই প্রচ্ছন্ন যে, পাঠক অকস্মাৎ তাহার উপলব্ধি করিতে পারেন না । দৈব-শক্তি যেমন অজ্ঞাতি-সারে ক্রিয়া করে, তদ্রুপ কবির সেই গৃঢ় উদ্দেশ্য পাঠকের অজ্ঞাতি-সারে তদীয় হৃদয়ের উপর একটা গুরুতর। কাৰ্য্য করিয়া যায়। পাঠকের অন্তঃকরণে চিরদিনের মত একটা সংস্কার রাখিয়া যায়। কবির সে প্রচ্ছন্ন উদ্দেশ্যপাঠক-হৃদয়ের উৎকর্ষ-বিধান, শুদ্ধি-বিধান, আর জগতের শিক্ষাদান। কবি প্রথমতঃ সৌন্দর্য্যের পরাকাষ্ঠা সৃষ্টি করেন। পরে, ঐ প্রত্যক্ষ সৌন্দর্ঘ্যের দ্বারা পরোক্ষভাবে পাঠকের হৃদয়ও সুন্দর করিয়া তুলেন। ফুলের বর্ণ সুন্দর, দেখিলেই নয়নের তৃপ্তি জন্মে, ঐ ফুলে যদি আবার সৌরভ থাকে, তবে উহাতে মনও পরিতৃপ্ত হয়। কাব্যের বহিঃ-সৌন্দৰ্য্য নয়নরঞ্জন বটে, সেই কাব্যে যদি আবার অন্তঃ-সৌন্দৰ্য্যও থাকে, তবে তাহা মনোরঞ্জনও হয়। নয়নের তৃপ্তি ক্ষণস্থায়িনী, মনের তৃপ্তি চিরস্থায়িনী। যাহাতে প্ৰকৃতপক্ষে, হৃদয়ের তৃপ্তি জন্মে, তাহা চিরদিন মনে থাকে। কবে—কোন সময়ে, হয়ত, জীবনে কি একটা সামান্য ঘটনা ঘটিয়াছিল, কিন্তু তাহাতে, তখন, হৃদয়ের বড়ই পরিতৃপ্তি হইয়াছিল, তাই আজ, এই সুদীর্ঘকাল পরেও যেমন তাহার কথা মনে পড়ে, তদ্রুপ, কাব্য-বণিত কোন সৌন্দৰ্য্যময় চরিত্র পাঠ করিতে করিতে, যদি যথার্থই হৃদয়ের