পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

fo : 889 Go বশিষ্ঠের সন্নিধানে। বশিষ্ঠ এখন সন্ধ্য-বন্দনাদি-নিরত। সুতরাং নরপতিকে কিয়ৎক্ষণ বিলম্ব করিতে হইল। তুমি কোশলসাম্রাজ্যের অদ্বিতীয় অধীশ্বর সত্য, কিন্তু বিষয়-নির্লিপ্ত বশিষ্ঠের আশ্রমে তুমি একজন অতিথি বই অন্য কিছুই নও। ঋষি বশিষ্ঠ “সর্বত্র সম-দৰ্শন,”—সুতরাং নৃপতিকে অপেক্ষা করিতে হইল। ক্ৰমে তাহদের আহবান श्ल। নিত্য-ক্রিয়ার অবসানে দেবী অরুন্ধতীর সহিত উপবিষ্ট, সাক্ষাৎ অগ্নির ন্যায় তাপস-তেজে প্ৰদীপ্ত, বশিষ্ঠের চরণে রাজ-দম্পতি প্ৰণাম করিলেন। তখন মুনিশ্রেষ্ঠ বশিষ্ঠ, নৃপশ্রেষ্ঠ দিলীপকে রাজ্যের কুশল জিজ্ঞাসা করিলেন। আর দশজনকেও ঋষি এই ভাবে কুশল জিজ্ঞাসা করিয়া থাকেন। অযোধ্যাপতি বলিয়া কিছুই অতিরিক্ত করিলেন না । রাজা অঞ্জলি-বদ্ধ-করে কত স্তব-স্তুতি করিয়া, পরে কহিলেন,-“দেব, আপনার অনুগ্ৰহে আমার সর্বত্রই মঙ্গল,— “কিন্তু বধ্বাং তবৈতস্যাং অদৃষ্ট-সদৃশ-প্ৰজম্। ন মামবাতি সদ্বীপাং রত্ন-সুরপি মেদিনী ॥’ (১) “কিন্তু আপনার এই বধূর অঙ্কে, আমার বংশের অনুরূপ পুত্ৰরত্বের আদর্শনে, রত্ন-প্ৰসবিনী পৃথিবীও আমার বিড়ম্বনাময় মনে হয়। আমি জানি, তপোদান-সমুস্তব” পুণ্য কেবল “লোকস্তরে” সুখকর, কিন্তু দেব, সদ্ববংশজ সন্তান, ইহলোক পরলোক—উভয় লোকেরই আনন্দের নিদান। আপনি, ইহার যে হয় একটা প্ৰতিকার করুন।” S-bdt ܨ#ܕܚܝܼܬ