পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8O কালিদা 게 | কুমার-সম্ভবের দ্বিতীয় সর্গে, তারকাসুর কর্তৃক উপদ্রুত হইয়া, দেবগণ যখন প্ৰতিকার-বাসনায় পিতামহ ব্ৰহ্মার নিকটে গমনপূর্বক, তারকের অত্যাচার-কাহিনী বৰ্ণনা করিয়াছিলেন, তখন ব্ৰহ্মা স্বয়ং তঁহাদের সাস্তুনার জন্য কত কথা, কত সমবেদনার আলাপ করিয়াছিলেন। আর আজ ব্ৰহ্মার মানস পুত্ৰ বশিষ্ঠের নিকট, বশিষ্ঠের শিষ্য, পুত্ৰাধিক প্রিয়তর, রাজাধিরাজ দিলীপ পুত্ৰ-বিরহে কত দুঃখ-প্ৰকাশ করিলেন, কিন্তু বশিষ্ঠ অটল । কোন কথাই কহিলেন না । নীরবে সব শুনিলেন মাত্র। পিতামহ ব্ৰহ্মা আজ র্তাহার মানসপুত্রের স্থৈৰ্য্যে ধৈৰ্য্যে পরাজিত হইলেন । কালিদাস যখন কুমার সম্ভবের কবি, তখন তঁহার অবাধ কল্পনার গতি অতি প্ৰখর ; আর তিনি যখন রঘুবংশের কবি, তখন র্তাহার সে গতি অনেকটা সংযত । তাই রঘুর বশিষ্ঠ কুমারের ব্ৰহ্মার ন্যায় হয়েন নাই। 藏 দিলীপের বাক্যাবসানে, মহর্ষি ‘ধ্যান-স্তিমিত-লোচন’ হইয়া অপুত্ৰকতার কারণ বুঝিতে পারিলেন। দিলীপকে বলিলেন, “মহারাজ ! তুমি একদিন স্বর্গের ইন্দ্রের নিকট হইতে যখন মর্ত্যের দিকে আসিতেছিলে, তখন তোমার পথি-মধ্যে কল্প-তরুর ছায়ায় কামধেনু সুরভি শয়ানা ছিলেন। তুমি স্বীয় রাজধানী-গমনে ঔত্সুক্য-নিবন্ধন, পূজাৰ্হা সুরভিকে পূজা না করিয়াই ব্যগ্র-হৃদয়ে । চলিয়া গিয়াছিলে, কামধেনু তোমার এই ব্যবহারে বিরক্ত হইয়া, তোমাকে অভিসম্পাত করিয়াছিলেন, যে, তুমি যেমন আমাকে অবজ্ঞা করিলে, তেমন, আমার সন্তানের আরাধনা না করিলে