পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 কালিদাস । করিয়াছে, নরপতি আজ বিনয়ের যে পরাকাষ্ঠ প্ৰদৰ্শন করিলেন, কৰ্ত্তব্য-নিষ্ঠার যে চুড়ান্ত উদাহরণ দিলেন, তদর্শনে গ্ৰীত হইয়াই বুঝি, বনদেবতারা বংশি-স্বর-সংযোগে যশস্বী নৃপতির যশোগান করিতেছেন। গিরি-নিৰ্ব্বরের শীকর-বাহী, বন-কুসুম-গন্ধি মৃদুল সমীরণ, নিশাচ্ছত্ৰ, “আতপক্লান্ত, পবিত্ৰাচার নরপতির শ্রান্তি-নাশ করিতেছে। রাজ-ভোগ-বঞ্চিত রাজা এইরূপে প্ৰাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য উপভোগ করিতে করিতে, সুখের রাজ-সম্পদ বিস্মৃত হইয়া নন্দিনীর সেবা করিতে লাগিলেন । সমস্ত দিন পৰ্যটনের পর, সায়ংকালে শরীর যখন অবসন্ন হইয়া পড়ে, তখন নর-নাথ, বনস্থলীর সেই অনুপম সান্ধ্য সৌন্দৰ্য দর্শন করিয়া দেহের শ্রান্তি-বিনােদন করেন। সায়ংকালে, বরাহগণ দলে দলে কর্দমাক্ত-দেহে জলাশয় হইতে উঠিতেছে, বিহঙ্গম-গণ মধুর স্বর-লহরীতে দিজুমণ্ডল মুখর করিয়া “আবাস-বৃক্ষের’ দিকে ধাবিত হইয়াছে, মৃগ-রাজি, সুনীল দূর্বাচ্ছাদিত ভূমিতে সুখে শয়ন করিয়া রোমস্থ করিতেছে। প্ৰকৃতির এই সুন্দর সজ্জিত উদ্যানে সন্ধ্যাদেবী ধীর-পদ-সঞ্চারে অবতরণ করিতেছেন, সমগ্র বনভূমি একেবারে “শ্যামায়মান” হইয়া গিয়াছে,-নরপতি আনিমেষ-নেত্রে বনস্থলীর এই সান্ধ্যশোভা অবলোকন করিতে করিতে দিবসের সমস্ত ক্লান্তি ভুলিয়া যান। প্ৰভাতে, যখন নন্দিনী বন-চারণে বহির্গত হয়েন, তখন আশ্রমে, তঁহার বৎসকে আবদ্ধ রাখা হইয়াছে, সমস্ত দিন